ঢাবিতে তোফাজ্জল হত্যায় সাময়িক বহিষ্কার ৮ শিক্ষার্থী, হল প্রাধ্যক্ষকে অপসারণ

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ৩ মাস আগে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে তোফাজ্জল হোসেন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আট শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া ওই হলের প্রাধ্যক্ষকে অপসারণ করা হয়েছে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফজলুল হক হলের ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে অভিযুক্ত আটজন ছাত্রের আবাসিক সিট হল প্রশাসন বাতিল করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত আটজন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের আদেশ দিয়েছে।

বহিষ্কৃত ৮ শিক্ষার্থী হলেন পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মো. মোত্তাকিন সাকিন শাহ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের মো. জালাল মিয়া, মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সুমন মিয়া, ভূগোল ও পরিবেশের ২০২০-২১ বর্ষের ছাত্র আল হোসাইন সাজ্জাদ, গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের মো. আহসান উল্লাহ, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের মো. ফিরোজ কবির, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের মো. আবদুস সামাদ ও সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ বর্ষের ওয়াজিবুল আলম।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ফজলুল হক হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শাহ্ মো. মাসুমকে পরিবর্তন করে ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস আল-মামুনকে হলটির নতুন প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।

এছাড়াও অভিযুক্ত ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের পর এ ঘটনায় আর কোন শিক্ষার্থী জড়িত আছে তা খতিয়ে দেখতে একটি কেন্দ্রীয় তদন্ত কমিটি গঠন করার উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রক্টর অফিস থেকে ‘গত ১৮.০৯.২০২৪ তারিখ ফজলুল হক মুসলিম হলে সংঘটিত দুঃখজনক ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক এখন পর্যন্ত গৃহীত পদক্ষেপসমূহ’ শীর্ষক এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্ত ৬ শিক্ষার্থীকে ঘটনা সংঘটিত হওয়ার ৬ ঘণ্টার মধ্যে প্রক্টরিয়াল টিমের সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে এবং বর্তমানে জেল হাজতে আছে। ১৯ তারিখ সকালেই হল প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। ঘটনার ২০ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং উক্ত কমিটি ইতিমধ্যে একটি রিপোর্ট প্রদান করেছেন। রিপোর্টের ভিত্তিতে হল প্রশাসন অভিযুক্ত ৮ শিক্ষার্থীর আসন বাতিল করেছে।

এতে আরো বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযুক্ত ৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে। অন্য কোনো শিক্ষার্থী জড়িত আছে কিনা তা জানার জন্য আরো একটি কেন্দ্রীয় তদন্ত কমিটি গঠন করার উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনও প্রচলিত আইনে তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকানোর জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
  • তোফাজ্জল হত্যা
  • ফজলুল হক হল
  • #