বরিশাল সদর উপজেলার রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়নে সরকারি জমি দখল করে বিএনপির কার্যালয় গড়ে তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ধর্মাদি মোল্লার দোকান সংলগ্ন এলাকায় এ অফিস করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে গত শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দোয়া-মোনাজাত করে ওই অফিস ভবনের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনের একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে। এরপর পর পরদিন রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে ওই জমিতে বাউন্ডারি দেয়াল দিয়ে তা দখলে নিয়েছে স্থানীয় বিএনপি নেতারা।
স্থানীয়দের অভিযোগের পর গতকাল মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এর নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছেন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ধর্মাদি মোল্লার দোকান সংলগ্ন এলাকায় গত রবিবার থেকে বিএনপির যে অফিসটি করা হচ্ছে সেখানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক নেতারা। অফিস স্থাপন কার্যক্রমের ভাইরাল ছবিতে দেখা যায়, এর সঙ্গে জড়িত রায়পাশা-করাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম সিকদার, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবু বকর মল্লিক, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবুল বাশার আবু। বিএনপি অফিস নির্মাণকাজের দোয়া-মিলাদে নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক নুরুল আমিন।
জানতে চাইলে রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের নেতৃত্বে জমিটি দখল হয়েছে। তার সঙ্গে তার ভাইও রয়েছেন।
স্থানীয় তেলের দোকানদার চান মোল্লা বলেন, সরকারি ওই জমিটি দীর্ঘদিন খালি পড়েছিল। দুদিন আগে তা দখল করে সেখানে বিএনপির অফিস করছে।
বিএনপি নেতা কালাম, আমিন চেয়ারম্যানের ভাই মনির ভাই এই অফিস করতেছে। তবে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জমি দখলদার আবুল কালাম সিকদার বলেন, তিনি জমি দখলের বিষয়ে কিছুই জানেন না। আমিন চেয়ারম্যান জানতে পারেন। তার সঙ্গে আলাপ করেন।
এ প্রসঙ্গে বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক নুরুল আমিন জানান, কড়াপুরের ধর্মাদি বিএনপির অফিস করার জন্য জায়গায় নিয়েছিল। অফিসের নির্মাণকাজের দোয়া মোনাজাতে তাকে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে জানা যায় যে সেটা সরকারি জায়গা। এজন্য ওই স্থানে অফিস না করতে নিষেধ করে দিয়েছি। তিনি বলেন, আমি বিষয়টি জানতাম না। এখন নিজস্ব স্থানে করা হবে।
এ ব্যাপারে বরিশালের রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, স্থানীয়রা অভিযোগ দিয়েছেন যে পানি উন্নয়নবোর্ড ও সড়ক জনপদের জমি দখল করা হচ্ছে। পরে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।