নাটোরে প্রণোদনায় কৃষি উপকরণ না পাওয়ায় ইসরাত জাহান ইমন নামে এক উপ-সহকারী কৃষি অফিসারের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে এক কৃষকের বিরুদ্ধে। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে সদর উপজেলার তেবাড়িয়া ইউনিয়নের একডালা নারায়ণপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত কৃষকের নাম মো. মিলন। তিনি একডালা এলাকার বাসিন্দা। তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
আহত কৃষি কর্মকর্তার নাম ইসরাত জাহান (৩২)। তিনি সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে কর্মরত। বর্তমানে নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহত উপ-সহকারী কৃষি অফিসার ইসরাত জাহান ইমন বলেন, নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে বুধবার একডালা নারায়ণপাড়ার মাঠে একজন কৃষকের ফসল দেখতে যাই। সেখানে গেলে মিলন নামে এক কৃষক আমার কাছে আসে এবং জানতে চায় কেন তাকে এ বছর প্রণোদনা দেওয়া হয়নি। আমি তাকে বুঝিয়ে বলেছিলাম যে, নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রণোদনা আসে, তাই এগুলো পর্যায়ক্রমে সব কৃষকদের দিতে হয়। এ বিষয়টি নিয়ে ওই কৃষক আগে থেকেই রেগে ছিলেন। একপর্যায়ে তিনি আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে তার হাতে থাকা রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এরপর স্থানীয়রা এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
জেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইসরাত জাহান বুধবার দুপুরে নারায়ণপাড়া মাঠে এক কৃষকের ফসলি জমি দেখতে যান। এ সময় কৃষক মিলন তার কাছে এসে জানতে চান, কেন তিনি এবার কৃষি প্রণোদনা পাননি। কৃষি কর্মকর্তা তাকে বোঝানোর চেষ্টা করলে, একপর্যায়ে কৃষক মিলন ক্ষিপ্ত হয়ে হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে ওই কর্মকর্তার মাথায় বাড়ি মারেন। এতে ওই কর্মকর্তার মাথা ফেটে যায়।
তবে অভিযুক্ত কৃষক মো. মিলন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কৃষি কর্মকর্তার স্বামী মো. রানার কাছে আমি টাকা পাব। টাকার কথা বললে তিনি গালিগালাজ করতে শুরু করেন। তখন রাগ করে আমি ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা এক শ্রমিকের ব্যাগ তার দিকে ছুড়ে মারি। ব্যাগে শক্ত কিছু ছিল, তাতে তার মাথা কেটে যায়। আসলে আমি তাকে মারার উদ্দেশ্যে মারিনি।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি মৌখিকভাবে শুনেছেন। কৃষি কর্মকর্তারা লিখিত অভিযোগ নিয়ে আসার কথা জানিয়েছেন। মামলা হবে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হবে।