আগের দিন ২৭ কোম্পানিকে ‘জেড’ শ্রেণিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারীদের ভীত করে তুলেছে; একদিনেই দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে প্রায় ১০০ পয়েন্ট। সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার লেনদেনেও এর প্রভাব দেখা গেছে। লেনেদেন নেমেছে ৫০০ কোটির ঘরে। আরও দাম কমার শঙ্কায় হাতে থাকা শেয়ার কার আগে কে বিক্রি করবেন সেই প্রতিযোগিতায় ১৭টি শেয়ারের দর সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত কমেছে। এসব শেয়ার ক্রেতাশূন্যও ছিল লেনদেনের শেষ সময় পর্যন্ত।
এর বাইরে বড় দরপতন (৮ থেকে ৫ শতাংশ) হয়েছে আরও ৪৯টি শেয়ারের। ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা বেশি থাকায় সব মিলিয়ে দাম কমেছে ২৯৯টি শেয়ারের। এতে দিন শেষে ৯৭ পয়েন্ট কমেছে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স।
এ নিয়ে টানা দুই দিনে ডিএসইর প্রধান সূচক হারাল ১৩৮ দশমিক ৮২ পয়েন্ট। এর আগের ছয় দিনে বাজারে সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও বেশির ভাগ শেয়ার দাম কমে লেনদেন হয়। তবে সূচক বাড়ায় আগের ছয় দিনে যোগ হয়েছিল ৯৬ পয়েন্ট। বড় দরপতনে আগের ছয় দিনে যোগ হওয়া পয়েন্টের চেয়ে ৪১ পয়েন্টে কমেছে বেশি হারালো গত দুই দিনে।
গত বুধবার তালিকাভুক্ত ২৭ প্রতিষ্ঠানকে ‘জেড’ শ্রেণিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানায় ডিএসই। বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত কার্যকর শুরু হওয়ার দিনে লেনদেন শুরু হয় সূচকের পতন দিয়ে। কিছু সময় পর লেনদেনে গতির সঙ্গে সূচক কিছুটা বাড়লেও বিক্রয় চাপে সেই সূচক বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। এরপর থেকে সূচক ক্রমাগত কমে এক সময় ১০০ পয়েন্ট ছাড়িয়ে যায়। তবে শেষ দিকে ক্রেতা বাড়ায় পতন কিছুটা কমে ৯৭ পয়েন্টে দাঁড়ায়।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই হালকা থেকে ভারি বৃষ্টিতে ঢাকার মতিঝিল এলাকার সিকিউরিটিজ হাউজগুলোতে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতিও ছিল তুলনামূলক কম, যা লেনদেন কমাতে ভূমিকা রাখছে। একসঙ্গে অনেকগুলো কোম্পানিকে জেড শ্রেণিতে পাঠানোর কারণে এদিন বিনিয়োগকারীরা শুরু থেকেই শেয়ার বিক্রি করতে শুর করেন বলে অনেকেই জানিয়েছেন।