তাইওয়ান ও চীনের মধ্যকার তাইওয়ান প্রণালি দিয়ে যুদ্ধজাহাজ চালিয়েছে জাপান। প্রথমবারের মতো জাপানের নৌবাহিনীর ডেস্ট্রয়ার জেএস সাজানামি বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের জাহাজকে সঙ্গে নিয়ে উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রণালি অতিক্রম করে। জাপানের গণমাধ্যমে একথা জানানো হয়েছে।
জাপানি মন্ত্রীদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, জাহাজটি দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে যাওয়ার পথে রয়েছে।
তাইওয়ান প্রণালিকে চীন নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে আসছে। তাই চীনের সঙ্গে ঝামেলা এড়াতে ওই পথে জাহাজ চলাচল এড়িয়ে চলা জাপানের জন্য সেখানে যুদ্ধজাহাজ পাঠানো একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। তবে জাপান, তাইওয়ান বা চীন কেউই এই প্রণালি পাড়ি দেওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্রের বরাত দিয়ে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, যুদ্ধজাহাজটি তাইওয়ান প্রণালি অতিক্রম করার সময় এটিকে পর্যবেক্ষণে রেখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে চীনা সামরিক বাহিনী। তাছাড়া, ১৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ তাইওয়ান প্রণালিতে অবাধ নৌ চলাচলের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা টহল বাড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং তাইওয়ান উভয়ই বলেছে যে, এটি একটি প্রধান শিপিং এবং বাণিজ্যিক সমুদ্রপথ। এটি আন্তর্জাতিক জলসীমার অংশ এবং সবধরনের নৌ জাহাজের জন্য উন্মুক্ত। তবে প্রণালীর সার্বভৌমত্ব ও এখতিয়ার দাবি করা বেইজিং এর সঙ্গে একমত নয়।
কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরই ছিল একমাত্র বিদেশি নৌবাহিনী যারা নিয়মিত এই প্রণালি অতিক্রম করত। তবে সম্প্রতি এর সঙ্গে যোগ দিয়েছে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন ও ফ্রান্স। দুই সপ্তাহ আগে জার্মানি কয়েক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো এই প্রণালি দিয়ে নৌবাহিনীর দুটি জাহাজ চালিয়েছে।
চীনের সামরিক বাহিনী ১৩ সেপ্টেম্বর এই প্রণালী দিয়ে যাত্রা করে জার্মানির বিরুদ্ধে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ানোর অভিযোগ করেছে। তবে বার্লিন বলেছে, তারা আন্তর্জাতিক মান অনুসারে কাজ করেছে। গত ২২ বছরের মধ্যে এই প্রথম কোনও জার্মান নৌযান এই প্রণালি অতিক্রম করেছে।