রাষ্ট্রচিন্তাবিদ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের ৮৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘আজকের বাংলাদেশ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাগরণী শান্তিসংঘ। আলোচনা শেষে কেক কেটে আবুল কাসেমের ৮৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আর. সি. মজুমদার মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায়। এরপর শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাগরণী শান্তিসংঘের সভাপতি মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।
আলোচনা সভায় অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আসলে আমাদের জন্মদিন খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের যেটা দরকার, সেটা হলো- কী করে এদেশে সকলের জীবন উন্নত করতে পারি। মানুষের দুরবস্থা অতিক্রম করে কীভাবে ভালোর দিকে যেতে পারে, সেদিকে নজর দিতে হবে। এদেশের দারিদ্রের অবস্থা কী ভয়াবহ অবস্থায় আছে! সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলো- শতকরা ৪০ ভাগ লোক চরম দারিদ্র্যের মধ্যে আছে। এদিকে সাংবাদিকরা বলছে, এই ৪০ ভাগ লোক ভাত খেয়ে বাঁচতে পারে না। তারা ঘাসপাতা সিদ্ধ করে খায়।
তিনি আরও বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই এই দরিদ্রতা বিশালভাবে লক্ষ্য করি এবং অনুধাবন করেছি দারিদ্র্য মানুষের সবচেয়ে বড় ব্যাধি। এই ব্যাধিটার কোনো প্রতিকার নেই। একটা সময় মনে করলাম, ভবিষ্যতে উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে দারিদ্র্য কমবে। কিন্তু এই দারিদ্র্য আমাকে সবচেয়ে পীড়া দিচ্ছে। রাষ্ট্রের আইনকানুন পরিবর্তন করে শিল্পখাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো কাজ করলে দারিদ্র্যের অবস্থা খারাপ থেকে ভালোর দিকে যেতে পারে।
অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন পুত্রবধূ রাজিয়া রহমান, কন্যা শূচিতা শারমিন, সহধর্মিণী ফরিদা প্রধান, হাসান ফকরী, ডা. মুস্তাক হোসেন, লেখক মুস্তাফা মজিদ, সাংবাদিক সোহরাব হোসেন এবং ঢাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন সৈয়দা নাজনীন আখতার।