রাজধানীর নিউমার্কেট সংলগ্ন জিলানী মার্কেটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে এরশাদ সাঈদ, শুভ ও বাবু নামের চার জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার পরপরই পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় সেনাবাহিনী নিউমার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারীকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। মার্কেটের ব্যবসায়ী ও জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারীকে থানার সামনে অবস্থান নিয়ে আছেন।
মার্কেটের ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে মার্কেটে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারীসহ থানা যুবদলের সদস্য সচিব কে এম চঞ্চল, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুনিয়াদ আহম্মেদ সুমন, যুবদল নেতা সোহেল রানা, জালাল আহম্মেদ, জসিম আপেল ও থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শিমুলের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করে।
এ সময় সাঈদ ও বাবুকে তারা বেধড়ক পেটাতে থাকে। এ অবস্থায় মার্কেটের ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এলে তারা তাদের ওপরও চড়াও হয়। এ সময় এরশাদ ও শুভকেও তারা ব্যাপক মারধর করে। অবস্থা বেগতিক দেখে তারা থানা পুলিশকে খবর দিলে প্রথমে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
তারা বলেন, পুলিশ যুবদল নেতা আপেলকে আটক করে গাড়িতে করে থানায় নিয়ে আসার চেষ্টা করলে তারা পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়। এ অবস্থায় সেখানে সেনাবাহিনী পৌঁছালে তারা যৌথভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে সেনাবাহিনীর ঘটনাস্থলে এসে জাহাঙ্গীর পাটোয়ারীকে গ্রেফতার করে।
মার্কেটের ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন জানান, হামলাকারীদের লাঠির আঘাতে অন্তত ১০ জন আহত হয়। সাঈদ, বাবু, এরশাদ ও শুভ গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।
নিউমার্কেট থানার কর্তব্যরত অফিসার আরব আলী বলেন, এ ঘটনায় সাঈদ ও বাবুর পক্ষ থেকে পৃথক দুটি মামলা হচ্ছে। জাহাঙ্গীর পাটোয়ারী আমাদের হেফাজতে রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জহাঙ্গীরের অনুসারীসহ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা থানার আশপাশে ভিড় করে আছে। তবে জানতে চাইলে থানার অন্য কর্মকর্তারা তাদের গাড়ি থেকে যুবদল নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়টি নাম প্রকাশ করে নিশ্চিত করতে চাননি।