মধ্যপ্রাচ্যে যে রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে তাতে বিশ্ববাজারে বাড়তে শুরু করেছে জ্বালানি তেলের দাম। উভয় তেলের দামই ৪ শতাংশের ওপরে বেড়েছে।
বাজারসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং ইকোনমিকস জানায়, গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ৪ শতাংশের বেশি বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত ডব্লিউটিআই তেলের দাম ৪.১২ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল দাঁড়িয়েছে ৭০.৯৫ ডলার।
এর পাশাপাশি লন্ডনের ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম ৩.৯১ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল দাঁড়িয়েছে ৭৪.৫২ ডলার। সংস্থাটি বলছে, যুদ্ধ উত্তেজনার কারণে তেলের দাম আরো বাড়বে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ববাজারে তেলের চাহিদা কমে গেছে; সে কারণে এ বছর তেলের বাজার নিম্নমুখী ছিলো। মূলত চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি কমে যাওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বছরের প্রথম ছয় মাসে দেশটির তেল আমদানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে।
চীন বিশ্বের বৃহত্তম তেল আমদানিকারক দেশ। ফলে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি কমে গেলে তেলের বাজারে তার প্রভাব পড়ে। এর মধ্যেই গত সোমবার জানা গেছে, চীনের উৎপাদন কার্যক্রম এ নিয়ে টানা পাঁচ মাসের মতো কমেছে।
কিন্তু চাহিদার সংকটের সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক উত্তেজনা। বিষয়টি হলো ইসরায়েলের সঙ্গে লেবাননের হিজবুল্লাহ বাহিনীর সংঘাত শুরু হওয়ায় ইরানের এই লড়াইয়ে সরাসরি জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। ইরান এই হিজবুল্লাহ বাহিনীকে পৃষ্ঠপোষকতা করে। দেশটি ওপেকের সদস্য। এখন তারা সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে তেলের সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে।
এ কারণে আবার বাড়তে শুরু করেছে তেলের দাম।