জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে আশুলিয়ায় গার্মেন্টস শ্রমিক কাওসার হোসেন খান হত্যার বিচারের জোর দাবি জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ একইসাথে গত ১৮ সেপ্টেম্বর মালিকপক্ষের সঙ্গে স্বাক্ষরিত ১৮ দফা চুক্তি বাস্তবায়নে তালবাহানায় জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক হারুনার রশীদ ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মানস নন্দী, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ-এর সাধারণ সম্পাদক শামীম ইমাম, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক সাদিকুর রহমান শামীম, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ হোসেন, গণতান্ত্রিক শ্রমিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত সিনহা, শ্রমজীবী মঞ্চের আহ্বায়ক আবদুল আলী ও বিপ্লবী শ্রমিক সংহতির আহ্বায়ক মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক। সভা পরিচালনা করেন গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মাসুদ রেজা।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘আশুলিয়ার টংগা বাড়ি এলাকায় পুলিশের গুলিতে ম্যাংগো টেক্স লিমিটেডের সুইং অপারেটর কাউসার হোসেন খান নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ ও সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীনসহ আরো ৩০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বর সরকার, মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দের স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী আজ ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের কথা ছিল। মালিকদের অনেক প্রতিষ্ঠান তা লঙ্ঘন করছে। ফলে শ্রমিকদের তা স্বাভাবিকভাবেই বিক্ষুদ্ধ করেছে। মালিকগোষ্ঠীর এই ধরণের প্রতারণামূলক অবস্থানকে পূর্বতন পতিত ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারকে সশস্ত্রভাবে পাহারা দিয়েছে। আজকের এই শ্রমিক হত্যা ও সশস্ত্রবাহিনীর নৃশংস হামলা সেই ভয়ংকর ঘটনাবলীকে স্মরণ করিয়ে দেয়।’
নেতৃবৃন্দ সংঘটিত হত্যা ও হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং জড়িতদের বিচার ও শাস্তি এবং অবিলম্বে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ১৮ দফা বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান।