বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় দায়ের হওয়া তিনটি মামলায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক ৯ কাউন্সিলরসহ ২১ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকালে বরিশাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আশরাফ উদ্দিন জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে উচ্চ আদালতের চার সপ্তাহের আগাম জামিনের মেয়াদ শেষে মঙ্গলবার আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন ১০ কাউন্সিলরসহ ২২ জন। তবে অসুস্থতার কারণে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সামজিদুল কবির বাবুকে জামিন দেওয়া হয়।
কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন বরিশাল সিটি করপোরেশন সাবেক কাউন্সিলর সামসুদদ্দোহা আবিদ, আউয়াল মোল্লা, কেফায়েদ হোসেন রনি, খান মোহাম্মদ হোসেন, জয়নাল আবেদীন, আনোয়ার হোসেন রয়েল, এনামুল হক বাহার, হুমায়ুন কবির ও জিয়াউল হক মাসুম। বাকিরা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী হাফিজ আহমেদ বাবলু বলেন, ৪ আগস্ট বরিশাল নগরীর সদর রোডে জেলা ও মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলাসহ ৩টি মামলায় মোট ২১ জন আসামি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। পরে বিচারক আইনজীবীর বক্তব্য শুনে আসামিদের জেলহাজতে পাঠান। তবে উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নেওয়ায় আসামিদের রিমান্ড চায়নি পুলিশ।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আফজালুল করিম বলেন, এ নির্দেশনার বিপরীতে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
প্রসঙ্গত, ৪ আগস্ট বরিশালে জেলা ও মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর, হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২৩ আগস্ট কোতোয়ালি মডেল থানায় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৩৮১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৬০০-৭০০ জনকে। এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ইতোমধ্যে কারাগারে আছেন সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন সুমন সেরনিয়াবাত।