আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সারাদেশে এক অকল্পনীয় দুঃশাসন চলছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে চাঁদাবাজি মহোৎসব। দেশের প্রায় প্রতিটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের উপর বিএনপি ও তাদের মিত্রদের অত্যাচার নির্যাতনের পাশাপাশি এখন নতুন করে যুক্ত হয়েছে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার। ১৫ বছরের কিশোর থেকে ৯০ বছরের বৃদ্ধ আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মী রেহাই পাচ্ছে না গ্রেফতার থেকে। আজ শুক্রবার আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেইজে থেকে এ বিবৃতি দিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে,দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গলা কেটে হত্যা করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের ,খুন,বাসাবাড়িতে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট,অগ্নিসংযোগ করছে বিএনপি ও তার মিত্ররা। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে কিন্তু অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোন মামলা হচ্ছে না গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ড. ইউনূস অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে হত্যা অগ্নিসংযোগ লুটপাট শুরু করেছে। সাধারণ মানুষের জীবনের শান্তি স্বস্তি কেড়ে নিয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য আকাশ ছোঁয়া। সেদিকে নজর না দিয়ে, আওয়ামী লীগ নিধনে নেমেছে অবৈধ সরকার। এ ছাড়াও আসন্ন দূর্গা পূজার মূর্তি ভাঙচুর করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিচ্ছে। থানা লুটপাটকারী ও অবৈধ অস্ত্রধারীদের ধরা হচ্ছেনা ও গ্রেপ্তার ও করা হচ্ছে না। এই জঙ্গি সন্ত্রাসী খুনিদেরকে অবাধে সাধারণ মানুষ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের খুন করতে এক রকম সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
নানক বলেন, আমি সব নৃশংস ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এই জঘন্য অপরাধীদের মদদ যারা দিচ্ছে তাদের বিচার একদিন বাংলার মাটিতে হবেই। ইনশাআল্লাহ।