১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
সংস্করণ:
প্রতীকী ছবি
রাঙ্গামাটিতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও অনিক কুমার চাকমা হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) গ্রেফতারকৃত এক আসামিকে আদালতে তোলা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে বিচারক তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। অন্যদিকে, সহিংসতার দুই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামি নাবালক হওয়ায় তাদের জাতীয় কিশোর উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে।
রাঙ্গামাটি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। পুলিশ ও আদালত সূত্র জানিয়েছে, গত ২০ সেপ্টেম্বর রাঙ্গামাটি শহরে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও অনিক চাকমা হত্যা মামলায় খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলা থেকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে আসামি মো. রুবেলকে (২৩) জেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার পারভিন মিলির আদালতে তোলা হলে সে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দি দেন। তার বাসা জেলা শহরের চম্পকনগর এলাকায়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে খাগড়াছড়ি মানিকছড়ি উপজেলা থেকে হত্যা মামলার আসামি রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার আদালতে তোলা হলে বিজ্ঞ আদালত জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) রাঙ্গামাটি শহরের সাম্প্রদায়িক সংঘাতের ঘটনায় জেলা শহরের কালিন্দীপুর এলাকার প্রবেশ মুখে অনিক কুমার চাকমাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তার বাসা সদর উপজেলার জীবতলী ইউনিয়নের নোয়াদম পাড়া গ্রামে। কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন অনিক। পিটিয়ে হত্যার ঘটনার পর দুদিন পর ২২ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন অনিকের বাবা আদর সেন চাকমা। হত্যা মামলা ছাড়াও সহিংসতার ঘটনায় আরেকটি মামলা হয় কোতোয়ালি থানায়।
Web Design & Development:
