মধ্যপ্রাচ্যের সামরিক শক্তিধর দুই দেশ ইরান ও ইসরায়েল যেকোনো সময় যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে। গত মঙ্গলবার ইরানের হামলা পর থেকেই তেল আবিব ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে। এখন কতটা শক্তি নিয়ে ইরানে পাল্টা আঘাত হানবে দেশটি, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা।
ইসরায়েলি এই হামলার সম্ভাব্য টার্গেট কী হবে তা নিয়েও আগ্রহের কমতি নেই। শোনা যাচ্ছে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি কিংবা দেশটির তেল রপ্তানি প্ল্যান্টে হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল। তবে এ নিয়ে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বর্তমানে লেবাননে স্থল অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল।
এমতাবস্থায় ইরানে হামলা চালালে মধ্যপ্রাচ্যে আরও বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে ইসরায়েল। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে তলে তলে সেই প্রস্তুতিই নিয়ে যাচ্ছে দেশটি। বার্তা সংস্থা এএফপির বরাতে এ খবর জানিয়েছে গালফ নিউজ। ইসরায়েল ইরানে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির একজন কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক ও ইসরায়েলে ইরানের নজিরবিহীন ও অবৈধ হামলার জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে সেনাবাহিনী। তবে কবে বা কী ধরনের হামলা চালানো হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি ওই কর্মকর্তা।
এর আগে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর শুক্রবার তেহরানে জুমার নামাজ পড়ান দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। নামাজের আগে দেওয়া খুতবায় ইসরায়েলকে আরও কড়া জবাবের ব্যাপারে সতর্ক করে দেন তিনি। এর একদিন পর ইসরায়েলের হামলার প্রস্তুতির খবর প্রকাশ্যে এলো।