চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) কর্মরত যেকোনও জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে ভিসি হিসেবে নিয়োগের দাবিতে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। এ কর্মসূচির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে সোমবার (৭ অক্টোবর) কোনও ক্লাস হয়নি। বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ও একাডেমিক কার্যক্রম।
সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে সমবেত হয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো শাটডাউন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের এ শাটডাউন কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে অংশ নিয়েছেন সিভাসুর সব শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী। সভায় বক্তব্য রেখে অনেক শিক্ষক সিভাসু থেকে ভিসি নিয়োগের যুক্তি তুলে ধরেন। রবিবার থেকে এক দফা দাবিতে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।
ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম বলেন, নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে যেকোনও জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে ভিসি হিসেবে নিয়োগের দাবিতে আমরা ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে কর্মসূচি পালন করে আসছি। রবিবার প্রেসব্রিফিং করে এ দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়েছি, যার ২৪ ঘণ্টা শেষ হয়ে গেছে। আমাদের যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত এ দাবি মেনে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। দাবি মেনে নেওয়া না হলে রোড ব্লকসহ কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। এরইমধ্যে সব অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন শাটডাউনের আওতায় রয়েছে।
ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের শিক্ষক ডা. রিদুয়ান পাশা বলেন, আমাদের শিক্ষকদের উদ্ভাবিত পিবিএল, ইন্টার্নশিপ দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয় গ্রহণ করে। সেখানে এই গুণীজনদের বাদ দিয়ে বাইরে থেকে সৎ পিতাকে আমাদের জন্য নিয়োগ দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করার এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র। তাই সিভাসু থেকে ভিসি নিয়োগে শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক। এ দাবির সঙ্গে আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে ভিসি নিয়োগের দাবিতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে কর্মসূচি পালন করে আসছেন। ওই দিন শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রেরণ, ৩ অক্টোবর ক্লাস-পরীক্ষা বয়কট ও অবস্থান কর্মসূচি, ৪ অক্টোবর বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশাল মিছিল, ৫ অক্টোবর রোড ব্লক, ৬ অক্টোবর টোটাল শাটডাউন ও ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। কর্মসূচির কারণে সিভাসুতে অচল অবস্থা বিরাজ করছে।