শেরপুরের প্লাবনের পানিতে ডুবে ২ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৬ অক্টোবর) জেলার নকলায় এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত তিনদিনে পাহাড়ি ঢলের বন্যায় জেলার নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও নকলা উপজেলায় মোট ৮ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন নালিতাবাড়ী উপজেলার খলিশাকুড়া গ্রামের ইদ্রিস আলী (৬৬), অভয়পুর গ্রামের দুই ভাই হাতেম আলী (৩০), আলমগীর হোসেন (১৬), বাঘবেড় বালুরচর গ্রামের অমিজা খাতুন (৪৫), বাতকুচি গ্রামের জহুরা খাতুন (৭০), নকলা উপজেলার জালালপুর চিকনা এলাকার উজ্জল মিয়া (৫০) ও গণপদ্দি গজারিয়া এলাকায় আব্দুর রাজ্জাক (৬০)। এছাড়া, ঝিনাইগাতিতে বানের জলে ভেসে এসেছে এক অজ্ঞাত নারীর লাশ।
ভয়াবহ এ বন্যায় শেরপুর জেলার ২২টি ইউনিয়নের দেড় শতাধিক গ্রামে ঢলের পানিতে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র। বাড়িঘর ছেড়ে অনেকেই সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু খাবার ও বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা।
এদিকে, শেরপুর সেনাক্যাম্প থেকে জানানো হয়েছে- সোমবার (৭ অক্টোবর) সকালে সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান নালিতাবাড়ীর বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে আসবেন এবং এদিন তিনি বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করবেন।