ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হাফিজুল ইসলামের বিরুেদ্ধে ছাত্রীকে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে পেটানোর হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরও নানা হয়রানিমূলক আচরণের অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
হাফিজুর ইসলামের অপসারণ ও বিচারের দাবিতে সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে প্রধান ফটকে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুপুর দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. খাইরুল ইসলাম এসে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করেন এবং ফটক খুলে দেয়ার অনুরোধ জানান। তবে শিক্ষার্থীরা ফটক না খুলে বিক্ষোভ চালিয়ে যায়। পরে উপাচার্যের সাথে বৈঠকের আশ্বাস পেয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করে।
এ নিয়ে উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী লামিয়া হোসাইন বলেন, হাফিজ স্যার আমাদের দৈনন্দিন ড্রেস, চলাফেরা, এমনকি শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কী করছে, তা নিয়ে ক্লাসে অপমান করতেন। আমাকে ফ্যানে ঝুলিয়ে পেটানোর হুমকি দিয়েছেন। তার অপসারণ চাই।
বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অনন্যা রহমান অভিযোগ করেন, হাফিজ স্যার শিক্ষার্থীদের অকথ্য ভাষায় গালি দিতেন। আমাকে নিয়মিত ড্রেস নিয়ে কথা বলতেন এবং আমাকে হয়রানির জন্য ১০০ পৃষ্ঠার অ্যাসাইনমেন্ট করিয়ে জমা নেননি।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত মো. হাফিজুর রহমানকে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শুনেছি। আমি খুবই দ্রুত একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করব।