সম্প্রতি চোখে পড়লো দ্য ব্রিটিশ একাডেমির একটি নিবন্ধ। নিবন্ধটি পড়ে এক আমার ভিতরে এক চমৎকার অনুভূতি সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক, রাজনৈতিক ও মানবিক অধিকারের সাথে মানবমস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্রের যে একটি সার্বজনীন সম্পর্ক রয়েছে- তা নিবন্ধটিতে ফুটে উঠেছে।
মানবাধিকার দীর্ঘ পরিক্রমায় মস্তিষ্কের জটিলতম গঠনকে বিকশিত করে, উন্নত করে এবং সুষম করে- এমনটিই দাবি করেছেন ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ুবিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞরা। মানুষ যখন মানবাধিকার যেমন কর্তৃত্ব, অভাবমুক্ত স্বাধীনতা (Freedom from want) ও ভয়হীন স্বাধীনতা (Freedom from fear) ভোগ করে, তখন মানবমস্তিষ্কের স্নায়ুগুলো সার্বজনীন ও সামষ্টিকভাবে উন্নত হয়, সুষম ও ইতিবাচক পদ্ধতিতে বিকশিত হয়।
হাম্বুরাবির বিধান, ম্যাগনা কার্টা, স্বাধীনতার ঘোষণার দলিল। এগুলো পর্যালোচনা এবং মানবমস্তিষ্কে এর প্রভাব বিশ্লেষণ করে- এমন বিজ্ঞানসম্মত সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন বিশেষজ্ঞরা। মানবসভ্যতার রক্ষিত ইতিহাস, লিখিত প্রামাণ্য বার্তা দেয়- সব মানুষের স্বাভাবিক সার্বজনীন প্রাপ্যগুলো হলো স্বাধীনতা, নিরাপত্তা ও মর্যাদা। মহাদেশব্যাপী সংস্কৃতির বলয়ে ভিন্নতা, শতাব্দী ধরে সমাজকাঠামোতে পরিবর্তন সত্ত্বেও কেন এ ধরনের উল্লেখযোগ্য অধিকার বিষয়ক ঘোষণাগুলো সার্বজনীনভাবে অপরিবর্তিত রয়ে গেল?
রসকষহীন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে ব্রাউন ইউনিভার্সিটির দু’জন বিজ্ঞানী তাদের মতামত দিয়েছেন। তাদের অভিমত সমাজবিজ্ঞান ও স্নায়ুবিজ্ঞানের মধ্যে এক চমৎকার যোগসূত্র পেয়েছেন। তারা বলেছেন, মানবাধিকারের ঘোষণাগুলোর এ অপরিবর্তিত থাকার কারণ হলো বিশ্বের সব মানুষের রয়েছে একই ধরনের স্নায়ুতন্ত্র। সবাই একই স্নায়ুতন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে যোগাযোগ করে, অনুভূতি বিনিময় করে।
এ নতুন বৈজ্ঞানিক গবেষণায়, গবেষকরা নতুন একটি ধারণা তুলে ধরেছেন- সেটি মর্যাদাবোধের স্নায়ুবিজ্ঞান (Dignity Neuroscience)। সার্বজনীন অধিকার যা মানব মস্তিষ্কের নিউরনের সাথে ওতপ্রোতোভাবে জড়িত ও প্রোথিত- এমন ধারণাটি তাদের বিজ্ঞানসম্মত বিচার-বিশ্লেষণে ফুটে উঠেছে। বিশেষজ্ঞ দু’জন তাদের যুক্তি তুলে ধরে বলেন, বিভিন্ন বিষয়ের গবেষণা, যেমন বর্তমানে বিকাশমান মনোবিজ্ঞান (developmental Psychology) এবং স্নায়ুবিজ্ঞানের অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে, এর মুখ্য কারণ মানুষ সার্বজনীনভাবে মৌলিক অধিকার, কর্তৃত্ব, আত্মনিয়ন্ত্রণ, অভাবমুক্ত ও ভীতিহীন স্বাধীনতা ভোগের মাধ্যমে নিজেদেরকে বিকশিত করেছে।
গবেষকদ্বয় আরো বলেছেন, সমাজ যখন এ ধরনের অধিকারগুলো ভোগের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে এবং মানুষদেরকে দারিদ্র্য, লাঞ্ছনা, সহিংসতা ও যুদ্ধের মধ্যে পতিত করে; তখন এর স্নায়ুতান্ত্রিক ও মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব সব মানুষের বিরাজ করে, সে হোক যুদ্ধে আক্রান্ত কিংবা আক্রমণকারী ব্যক্তি অথবা এমন ভয়াবহ পরিস্থতির পর্যবেক্ষক। বিজ্ঞান এমন ধারণাকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করে।
টারা হোয়াইট ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচরণগত ও সমাজবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক এবং উক্ত গবেষণার প্রধান ব্যক্তি। তিনি বলেন- মস্তিষ্কের সহজাত সার্বজনীন মানবাধিকারের ভিত্তি মানুষকে ১৯৪৮ সালের বিশ্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা বুঝতে এবং অনুধাবন করতে সহায়তা করে। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, গড়পড়তা যেকোনো মানুষ বিশ্বজনীন মানবাধিকারকে আন্তর্জাতিক আইন হিসেবে ধরে নেয়। এই অধিকারের আইডিয়া ব্যক্তিগত জীবন ও পরিধির থেকে সামষ্টিক পরিধির জন্য অনেক বেশি কিছু করে। এটা কোনো অবাস্তব আইডিয়া বা ধারণা নয়, এই ধারণা আমাদের সবাইকে প্রভাবিত করে। আমরা অবশ্যই প্রমাণ করতে পারি, যে সমাজে বিশ্বজনীন মানবাধিকারের ভিত্তি সুপ্রতিষ্ঠিত, সেই সমাজ শুধু কাঠামোগত ও সামাজিকভাবে সুস্থ ও সুন্দরই নয়, বরং সেই সমাজ মনোস্তাত্ত্বিক ও স্নায়ুতান্ত্রিকভাবে সুস্থ, সুন্দর ও সাবলীল।’
হোয়াইটের সহগবেষক ড. মেগান গনস্লেভস বিশ্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার সঙ্গে পাঁচটি মূল ধারণা তুলে ধরেন। এগুলো কর্তৃত্ব, স্বায়ত্তশাসন, ভীতিহীন স্বাধীনতা, অভাবমুক্ত স্বাধীনতা, স্বাতন্ত্র্য ও শর্তহীনতা। তারা বলেন, এ আইডিয়াগুলো হলো এমন মৌলিক বৈশিষ্ট্য যা মানবমস্তিষ্কের কাঠামোগত গঠন, কার্যক্রম ও বিকাশে বড় প্রভাব রাখে। যেমন মানুষের শিক্ষণ প্রক্রিয়া ও আবেগ-অনুভূতি উপর গবেষণা প্রমাণ করেছেÑ মানবমস্তিষ্কের বিভিন্ন জায়গার ধূসর বস্তুকণাগুলো মানুষকে তার স্মৃতি মূল্যায়নে সহায়তা করে। লক্ষ্য অর্জনে কতটা অনুধাবন শক্তি প্রয়োগ কিংবা কতটা ঝুঁকি নিতে সক্ষম, সেটা মস্তিষ্কের এই ধূসর অংশ সুনির্দিষ্ট করে। গবেষণায় দেখা গেছে মস্তিষ্কের এ কর্তৃত্ব মানুষের স্বকীয় পছন্দ ও কার্যাদি গঠনের যোগ্যতা রাখে; আর এটা মানব মস্তিষ্কের সহজাত সার্বজনীন সক্ষমতা।
গবেষণায় আরো দেখা গেছে, যুদ্ধে আক্রান্ত মানুষ, আক্রমণকারী ও পর্যবেক্ষকের লব্ধ অভিজ্ঞতা থেকে তীব্র মানসিক চাপ, নেতিবাচক অভিজ্ঞতার অনুভূতি, শারীরিক ক্ষতিগ্রস্ততার ভীতি এবং সহিংসতার হুমকি দীর্ঘ মেয়াদে মানব মস্তিষ্কের মধ্যে অন্তর্নিহিততাভে চলাচল করে। এ ধরনের অভিজ্ঞতা দীর্ঘ মেয়াদের জন্য মানবমস্তিষ্ককে ক্ষতিগ্রস্ত (brain trauma) করে। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বজনীন মানবাধিকার একটি বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি যা মানুষকে যুদ্ধ থেকে রক্ষা করে, সব মানুষই যুদ্ধ পরিস্থিতি থেকে নিষ্কৃতি চায়, যথাসম্ভব যুদ্ধমুক্ত পরিস্থিতি প্রত্যাশা করে।
গনস্লেভস তার গবেষণায় সার্বজনীন মানবাধিকারের আইডিয়া উপস্থাপন করে বলেন, ‘মানবাধিকারের সর্বজনিনতা শুধু একটি সুস্থ, সুন্দর ও সাবলীল সমাজের সামাজিক বৈশিষ্ট্যই নয়, এ অধিকার সমাজের গভীরে বাস্তবে প্রয়োগযোগ্য ও বিজ্ঞানসম্মত একটি পদ্ধতিও। এই সার্বজনীন অধিকারগুলোতে বিজ্ঞানসম্মত গবেষণা ও শক্ত প্রামাণ প্রয়োগের ভিত্তিতে অনুধাবন যায়; সারাবিশ্বে এ অধিকারগুলোর সুরক্ষা ও মানা অত্যন্ত আবশ্যক।’
হায়াইট তিনবছর আগে ‘মর্যাদাবোধের স্নায়ুবিজ্ঞান’ (dignity neuroscience) ধারণাটির উদ্ভব করেন। তিনি দ্য ব্রিটিশ একাডেমি ও ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ভিজিটিং ফেলো হিসেবে লন্ডনে মানবাধিকার বিষয়ক এক সেমিনারে আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে এমন এ ধারণা উপস্থাপন করেন। হোয়াইট আচরণগত স্নায়ুবিদ্যা বিশারদ (বিজ্ঞানী), যিনি কক্ষভর্তি জাতিসংঘের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞদের মাঝে নিজেকে একজন বাইরের পর্যবেক্ষক বলে মনে করতেন, নিজেকে অংশগ্রহণকারী হিসেবে মোটেই ভাবতেন না।
সেমিনার কক্ষে অনেকেই বশ্যতার নীতি থেকে বিশ্বজনীন মানবাধিকারের দিকে যে বাস্তব বৈশ্বিক বাকবদল তার উপর প্রশংসা করতে থাকে; বিশ্বের অনেক কর্তৃত্ববাদী নেতা মুক্ত সাংবাদিকতার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে, ভোটাধিকারকে নগ্ন করে এবং রূপান্তরিত গণতান্ত্রিক আইনকে শাস্তিমুক্ত করে ফেলে- এসব বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা তুমুল চলে। কিন্তু হোয়াইট ভাবলেন যে, তার কাছে উপস্থাপন করার মতো এমন কোনো উপদেশমালা নেই। এ সময় হোয়াইট এ চমৎকার আইডিয়াটা উপস্থাপন করল। এই আলোচনার প্রত্যেকটা বিষয় খুবই প্রাসঙ্গিক। হোয়াইট বলেন, ‘যে জটিল আন্তর্জাতিক আইন নিয়ে তারা আলোচনা করছে তার পাঁচটি ধরন রয়েছে। এ ধরনগুলো মনোবিজ্ঞান ও বিকাশমান স্নায়ুবিজ্ঞান থেকে উৎপত্তি হয়েছে। আমি সেমিনারের শেষে দাঁড়িয়ে আমি আমার আইডিয়ার সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করি।’ হোয়াইট বলেন, ‘আমাদের সবার একই সদৃশ প্রয়োজনীয়তা আছে, আর যদি আমাদের এই প্রয়োজনীয়তা পরিপূর্ণ হয়; তাহলে আমাদের সার্বজনীনভাবে বিকাশ সাধিত হয়।’
২০২০ সাল থেকে কোভিড-১৯ মহামারি সারাবিশ্বে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে এবং অপরদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাজনীতি, বর্ণবাদ ও পুলিশি সহিংসতার তিক্ত বিভাজনের আবরণে বন্দি। কিন্তু হোয়াইটের অনুসন্ধানী ধারণা থেকে সিদ্ধান্তে পৌঁছেন, স্নায়ুবিজ্ঞান ও সার্বজনীন মানবাধিকারের আন্তঃসংযোগ একটা নতুন উপযোগিতা তৈরি করে। গনস্লেভসও এ আইডিয়ার সঙ্গে একমত পোষণ করেন।
গনস্লেভস বলেন, ‘নির্বাচন ও অসমতা নিয়ে যে নারকীয় অবস্থা, সেটা আমার ভিতরে একধরনের স্ফুলিঙ্গ তৈরি করে। চলমান মহামারি পরিস্থিতি আরো অবনতির দিকে ধাবিত হচ্ছে এবং কালো আমেরিকানদের প্রতি বর্ধনশীল সহিংসতা আরো তীব্রভাবে বাড়ছে- এটা আমার মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করে। আমি অন্যদেরকে সহযোগিতা করে একটা সুন্দর, সুস্থ ও শান্তিপূর্ণ সমাজব্যবস্থা তৈরি করতে চেয়েছিলাম। আমি মনে করি সার্বজনীন অধিকারের সাথে যুক্ত এ ধরনগুলো বিশ্বজনীন সমাজব্যবস্থা তৈরি করতে সক্ষম। আমি দৃঢ়ভাবে উপলব্ধি করি, আমরা যতো বেশি বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে আমাদের সার্বজনীন সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য বুঝতে পারব এবং যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবো, আমাদের মধ্যে তত সফলভাবে সহমর্মিতা ও সমবেদনার দিকটি সুপ্রোথিত হবে।
হোয়াইট তার গবেষণায় দেখিয়েছেন সার্বজনীন অধিকার ও স্নায়ুবিজ্ঞানের মধ্যে একটা বোধগম্য যোগসূত্র আছে। তিনি আশাবাদী যে তার এ গবেষণাটি আরো বেশি আন্তঃসংযোগের সমন্বয় ঘটিয়ে সামষ্টিক গবেষণায় ব্যাপকভাবে উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে, গবেষণার পথকে আরো সুগম কবরে। এ ধরনের বৈজ্ঞানিক সংযোগ স্নায়ুবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী ও আইন বিশেষজ্ঞদের মাঝে সেতুবন্ধন তৈরি করে নতুন গবেষণার দ্বার উন্মোচন করবে।
‘মর্যাদাবোধের স্নায়ুবিজ্ঞান’ অনুধাবনের মাধ্যমে আইন প্রণেতা ও ভোটাররাও সহায়তা পেয়ে থাকেন, যা প্রত্যেকটা ব্যক্তির সাদৃশ্য মৌলিক অধিকার প্রদানের ক্ষেত্রে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেয়; একই সাথে অপরকেও তার জীবনযাপনের পছন্দসই সুব্যবস্থা প্রদান করে।
হোয়াইট বলেন, এটা সত্য সব মানবমস্তিষ্কগুলো সাধারণত একই পদ্ধতিতে কার্য সম্পাদন করে। যেমন অপর মানুষের ভালো কাজকে ইতিবাচকভাবে এবং আঘাত কিংবা মানসিক অসুস্থতাকে নেতিবাচকভাবে নেওয়া- আমাদের একটি সার্বজনীন সহজাত প্রবণতা এবং এই প্রবণতা আমাদের সবার মধ্যে সবসময়ই পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু আমাদের মস্তিষ্ক প্লাস্টিকের মতো। আমাদের মস্তিষ্ক বিভিন্ন অভিজ্ঞতায় সাড়াদান করে, পরিবেশ-পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে, তার সাথে খাপ খাওয়ায় এবং সহনীয় করে তোলে; ফলে আমাদের মস্তিষ্কে নতুন অভিজ্ঞতা সৃষ্টি হয় এবং পরিবর্তনের ধারা সূচিত হয়। ফলে দুইটা মস্তিষ্ক কিংবা দু’জন মানুষ বাস্তবিকভাবে একই রকম হয় না।
হোয়াইট বলেন, ‘সব মানুষই সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী, সে যে মানুষই হোক না কেনো। সব মানুষই আপনার মতো, আবার সব মানুষই আপনার থেকে ভিন্ন।’ তিনি আরও বলেন, আমাদের সবার একই প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, আর যখন এই ‘প্রয়োজনীয়তা পরিপূর্ণ হয়, তখন এটা আমাদের বিকশিত হতে সহায়তা করে, আমরা সার্বজনীনভাবে বিকশিত হই। আবার একই সময়ে আমাদের মধ্যে নিজস্ব বলয় থাকার কারণে আমরা ভিন্ন, আমরা স্বতন্ত্র। সুতরাং মানবমস্তিষ্ক সার্বজনীন ও স্বতন্ত্র পরিকাঠামোতে চলমান এক সত্তা।’