কুমিল্লায় সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে যুবক খুন

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ২ মাস আগে

কুমিল্লায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন এবং কমপক্ষে পাঁচ জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। রবিবার (১৪ অক্টোবর) রাতে জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার খিলা ইউনিয়নের সাতেশ্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে এ ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত তরুণের নাম বাবুল মিয়া (২৭)। তিনি সাতেশ্বর গ্রামের সোলেমান মিয়ার ছেলে। তিনি দিনমজুরের কাজ করতেন।

দুই পক্ষের সংঘর্ষের একপর্যায়ে বাবুলসহ স্থানীয় লোকজন তাদের থামাতে গেলে হৃদয়সহ তার লোকজন চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এ সময় বাবুলের পায়ে, পিঠে ও হাতে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাকে হাসপাতালে আসার আগেই মারা গেছেন বলে ডাক্তার জানান।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার বেলা ১১টায় সাতেশ্বর গ্রামের নড়াই বাড়ির পাশ দিয়ে অটোরিকশা চালিয়ে যাচ্ছিলেন একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে রিমন হৃদয়। দ্রুতগতিতে অটোরিকশা চালিয়ে যাওয়ায় ওই বাড়ির শিশুদের গায়ে ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে ওই বাড়ির বাসিন্দাসহ স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে অটোরিকশাচালকের বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। পরে হৃদয় ফেরার সময় বিষয়টি নিয়ে ওই বাড়ির লোকজনের সঙ্গে আবার ঝামেলা হয়। ঘটনাটি সমাধানের জন্য সন্ধ্যার পর সাতেশ্বর পূর্বপাড়ার একটি দোকানের সামনে সালিশ বৈঠক বসে।

এ সময় ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি আবদুল মতিন, ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি এমরান হোসেনসহ গ্রামের গণ্যমান্যরা দুই পক্ষকে মিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু অটোরিকশাচালক হৃদয়সহ তার পক্ষে থাকা সুমন, রুবেল, অন্তর, রিপন, আবদুল্লাহসহ বেশ কয়েকজন এ সিদ্ধান্ত মেনে নেননি।

তারা অপরপক্ষের ওপর হামলা করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে বাবুলসহ স্থানীয় লোকজন তাদের থামাতে গেলে হৃদয়সহ তার লোকজন চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এ সময় বাবুলের পায়ে, পিঠে ও হাতে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।

পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে লাকসাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি হাসপাতালে আসার আগেই মারা গেছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত দুলাল মিয়া, আবদুল মান্নান, মনির হোসেন, যুবদল নেতা এমরান হোসেনসহ পাঁচ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মনোহরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনার পর রাতেই লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার মূল আসামি ও বাবুলকে ছুরিকাঘাত করা সুমনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

  • কুমিল্লা
  • খুন
  • যুবক
  • সংঘংর্ষ
  • #