মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে আটকে রেখে এক নারীকে জোরপূর্বক গর্ভপাত করার চেষ্টা ও মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ সময় আম্বিয়া (৪২) নামে ঢাকা থেকে গর্ভপাত করাতে আসা টিমের এক নারী সদস্যকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরের দিকে শ্রীনগর উপজেলার পশ্চিম সিংপাড়া গ্রামের ইদ্রিস আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার ওই নারীর নাম দীপা বেগম (৩০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইদ্রিস আলীর ছেলে বিবাহিত রিপন শেখ ৪ থেকে ৫ দিন আগে ঢাকা থেকে দীপা নামের দুই মাসের এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ সময় তার স্ত্রী তানিয়া বেগম ওই নারীর পরিচয় জানতে চাইলে রিপন জানান ওই নারী তার পরকীয়া প্রেমিকা এবং তিনি ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিয়ের জন্য চাপাচাপি করার কারণে বাড়িতে নিয়ে এসেছেন তিনি।
পরে মঙ্গলবার দুপুরে ওই নারীকে জোরপূর্বক গর্ভপাত ঘটাতে ঢাকা থেকে একটি টিম নিয়ে আসেন রিপন। এ সময় দীপাকে হাতুড়িপেটা করে হাত-পা ভেঙে দিয়ে জোরপূর্বক গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টা করা হয়। পরে আশপাশের লোকজন ভুক্তভোগী ওই নারীর চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে এসে ওই নারীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ সময় গর্ভপাত ঘটানোর টিমের সদস্য আম্বিয়া নামে এক নারীকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যান মূল অভিযুক্ত রিপন শেখ।
এ ব্যাপারে রিপনের প্রথম স্ত্রী তানিয়া বেগম বলেন, আমার স্বামী রিপন ওই নারীকে ঘরে আটকে রেখে অজ্ঞাত ২ নারীর সহযোগিতায় জোরপূর্বক গর্ভপাত করানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে ওই নারীকে হাতুড়িপেটা করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক কাশফি জানান, নির্যাতনের কারণে ওই নারী স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারছেন না। তার হাত-পায়ের হাড় ভাঙা। উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। তর অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় রেফার্ড করা হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীনগর থানার ওসি মো. ইয়াসিন মুন্সী জানান, ভুক্তভোগী নারীর স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।