আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে অনুষ্ঠিত ৪৩তম বিসিএসের নিয়োগ প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। সেই সঙ্গে ৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষার সকল প্রক্রিয়া বাতিলের দাবিও জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর সম্প্রতি পদত্যাগকারী দলকানা পাবলিক সার্ভিস কমিশন সম্পূর্ণ দলীয় বিবেচনায় বিসিএস ৪৩তম ব্যাচের সুপারিশকৃত ২০৬৪ জন প্রার্থীকে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বিসিএসের বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। ব্যাপকভিত্তিক যাচাই-বাছাই না করে ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানে অসংখ্য প্রাণের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত অন্তর্বর্তীর সরকারের এই সিদ্ধান্ত ও নিয়োগ প্রক্রিয়া দেশের মানুষকে চরমভাবে হতভম্ব ও হতাশ করেছে এবং জনমনে প্রচণ্ড ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।
সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার জোর দাবি জানানো হচ্ছে। ঠিক সেই মুহূর্তে ৪৩তম বিসিএসের ঢালাও নিয়োগদানের মাধ্যমে সেই সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যদের সরকারি প্রশাসনের উচ্চতর পদসমূহে পুনর্বাসন করার এই অন্তর্ঘাতমূলক সিদ্ধান্ত জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তার পরিপন্থী এবং কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বিএনপির এ নেতা বলেন, পুনরায় ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পতনের পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত ফ্যাসিবাদি আওয়ামী লীগ সরকার দেশের গেজেটেড-ননগেজেটেড সকল পদে প্রশাসনের স্বর্বস্তরে দলীয় কর্মী বাহিনী নিয়োগের মাধ্যমে একচ্ছত্র সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলো। নিয়োগ, পদায়ন, বদলি, প্রমোশনসহ বিভিন্নভাবে বঞ্চিত করেছিলো দেশের হাজার হাজার যোগ্য ও মেধাবী তরুণ-তরুণীদের। বেড়ে গিয়েছিল সীমাহীন বেকারত্ব। সেই ধারাবাহিকতার সর্বশেষ নমুনা হচ্ছে এই ৪৩তম বিসিএস।
তিনি বলেন, দেশের হাজার হাজার যোগ্য ও মেধাবী প্রার্থীদের বঞ্চিত করে দলীয় ভিত্তিতে বিবেচিত ও সুপারিশকৃত ৪৩তম বিসিএস বাতিল করার জন্য আমরা দেশ ও জাতির পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। অতীতে একই প্রেক্ষাপটে ২৭তম বিসিএস এর চূড়ান্ত ফলাফল বাতিল করা এবং পুনরায় মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করার নজির রয়েছে।