জয়পুরহাটে পাঁচবিবিতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে চার নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ ছাড়া দলটির উপজেলা কার্যালয়ের আসবাব ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার পৃথক এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় গতকাল বুধবার ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৪০-৫০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেন সাইফুলের অনুসারী ও পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাব্বিউল ইসলাম।
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান চৌধুরী এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল গফুর ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলছে।
গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বারোয়ারি মন্দিরের সামনে এ দুটি পক্ষ বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এর জেরে রাত ১১টার দিকে তিনমাথা এলাকায় হারুন-অর-রশিদ দিপন নামে শামীমের এক অনুসারীকে মারধর করে সাইফুল-হান্নানের লোকজন। গুরুতর আহতাবস্থায় তাঁকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে মিছিল বের করে গফুর-শামীম পক্ষের লোকজন। মিছিলটি দানেজপুর এলাকায় একটি চাতালে পৌঁছালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এ সময় জুলফিকার আলী, মাহিন ফেরদৌস, মো. সোহাগ, আরিফুল ইসলাম আহত হন। তারা সবাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলামের অনুসারী। পরে পুলিশ-সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, দলীয় নেতাকর্মীকে নিয়ে পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউল ফেরদৌস রাইটের চাতালে বসে আলোচনা করছিলাম। এ সময় আবদুল গফুর ও শামীম হোসেনের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করা হয়। এতে আমাদের চারজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। হামলাকারীরা রেলস্টেশন সড়কে উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের আসবাব ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে।
পাল্টা অভিযোগ করে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল গফুর বলেন, আমাদের মিছিল পৌরশহরের দানেজপুরে পৌঁছালে সাইফুলের লোকজন প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ নিয়ে শামীম ও সাইফুলের লোকজনের মধ্যে মারামারি হয়।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেন বলেন, সংঘর্ষে আহতদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। যে পক্ষই অপরাধী হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাওসার আলী জানান, ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।