জাতির পিতা ও শেখ রাসেল : অস্তিত্ব পলিমাটির কণায় কণায়

: ইমামুল ইসলাম
প্রকাশ: ২ মাস আগে

পিতৃত্ব এক অমর অনুভূতির নাম, প্রজন্মের ভিত নির্মাণের এক কালজয়ী রেখার নাম পিতৃত্ব, আবহমানকাল ধরে বয়ে চলা বহতা নদীর পলিমাটির নাম পিতৃত্ব। কারাগারে বসে সন্তানের মাথায় হাত বুলিয়ে স্নেহের পরশ দেওয়ার নাম পিতৃত্ব, মাকে বাবা বলে ডাকার নাম পিতৃত্ব, অবুঝ শিশুর পিতৃস্নেহ লাভের এক অমোঘ অভীপ্সার নাম পিতৃত্ব, প্রজন্মের পাঁজর তৈরির নাম পিতৃত্ব। পিতৃত্ব এক অবিনাশী চেতনা, অমর আদর্শের নাম- যা জাতির মানসকাঠামো বিনির্মাণ করে, স্বপ্নপূরণে অহর্নিশ ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হওয়ার দীক্ষা দেয়। পিতৃত্ব এক আদর্শের নাম, চেতনার নাম, কাঙ্ক্ষি লক্ষ্যে পৌঁছার এক অনুপ্রেরণার নাম।

জাতির পিতা ও তার প্রজন্ম পরম্পরার অস্তিত্ব বদ্বীপের পলিমাটির কণায় কণায় ধারণ করে আবহমান বাংলাকে সমৃদ্ধ করছে আজও। বাঙালি জাতিসত্তার শক্ত ভিতে পিতার অমরতা বহু আলোকবর্ষ দূর হতে এখনো দ্যুতি ছড়িয়ে দেয়। তিনি তো আবহমান বাংলার পিতা, প্রজন্ম পরম্পরার পিতা, প্রজন্মের স্থায়ী ও নিরাপদ আশ্রয়ণের মহানায়ক- যিনি জীবন ও যৌবনে প্রজন্মের পতাকার নকশা অঙ্কনে ব্যক্তিক পিতৃত্বের সত্তাকে চুরমার করে সামষ্টিক পিতৃত্বের দায় ও দায়িত্ব স্কন্দে নিয়ে ইতিহাসের অক্ষয় বুননে মহীরুহ হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। বদ্বীপের উর্বরতার মাঝে দাঁড়িয়ে সন্ধ্যাতারার দিকে তাকালে পিতার প্রতিচ্ছবি ভেসে ওঠে প্রজন্মের প্রতিটি সন্তানের সহজাত স্বপ্নে। পিতার লোহিত রক্তের স্রোতধারা অনবরত বইছে প্রজন্ম পরম্পরার শিরা-উপশিরায়।

দুই.
জাতির পিতাকে উপলব্ধির অনুষঙ্গ হিসেবে তারই কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল আমার লেখার মূল উপজীব্য। গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও বাঙালি জাতির মুক্তির অহর্নিশ নেশায় জাতির পিতার বন্দিজীবন তার সন্তান-সন্ততিদেরকে পিতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত করে। শেখ রাসেলের জন্ম বাঙালি জাতির এমন এক যুগসন্ধিক্ষণে যখন এ জাতি চূড়ান্ত বিজয়ের পরিপক্বতা অর্জনের দিকদর্শন ঠিক করে অগ্রগামী পথ নির্ণয় করে। ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে প্রজন্মের এই আলোকখণ্ডের আবির্ভাব।

যুদ্ধ ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী বার্ট্র্যান্ড রাসেল তার অহিংস মতবাদ প্রচারের জন্যে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জেলবন্দি হন, তিনি হিটলারের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালান, সোভিয়েত টোটালিটারিয়ানিজম এবং ভিয়েতনাম যুদ্ধে আমেরিকার অংশগ্রহণের সমালোচনা করেন। তিনি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের পক্ষে ছিলেন সর্বদা সোচ্চার। তিনি ১৯৫০ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন, যা ছিল তার বহুবিধ গুরুত্বপূর্ণ রচনার স্বীকৃতিস্বরূপ; যেখানে তিনি মানবতার আদর্শ ও চিন্তার মুক্তিকে ওপরে তুলে ধরেছেন। বঙ্গবন্ধু এ মানবতাবাদী দার্শনিকের লেখার ভীষণ অনুরাগী ছিলেন, এ দার্শনিকের লেখা গভীর মনোযোগ দিয়ে পড়তেন এবং তিনি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে বুঝিয়ে নিতেন। বঙ্গমাতা পাশ্চাত্যের এই দার্শনিকের নামানুসারে তার কনিষ্ঠ ছেলের নাম রাখেন শেখ রাসেল। জননেত্রী শেখ হাসিনা তার স্মৃতিচারণামূলক গ্রন্থ ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’ বইয়ে উল্লেখ করেনÑ ‘আব্বা বার্ট্র্যান্ড রাসেলের খুব ভক্ত ছিলেন, রাসেলের বই পড়ে মাকে বাংলায় ব্যাখ্যা করে শোনাতেন। মা রাসেলের ফিলোসফি শুনে শুনে এত ভক্ত হয়ে যান যে, নিজের ছোট সন্তানের নাম রাখেন রাসেল।’

ভীষণ অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় ছিল শেখ রাসেল। বাইসাইকেল চালাত, বরশি দিয়ে মাছ ধরত, কবুতরেরর সাথে সখ্যতা করত, পোষা কুকুর টমির সাথে বন্ধুত্ব করত, টমির সাথে অভিমান করত, জয় বাংলা স্লোগান দিত, গেরিলা যোদ্ধা (গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা) সাজত। সর্বদা প্রাণ-চাঞ্চল্যে ভরপুর এমন একটি সম্ভাবনাময় শিশু ছিল শেখ রাসেল। বেঁচে থাকলে মুক্তিযুদ্ধকালীন শৈশব নিয়ে বেড়ে ওঠা এক জীবন্ত তারুণ্যের তেজদীপ্ত প্রতিভা বাঙালির মনন ও চেতনায় এক প্রমত্ত উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে পারত শেখ রাসেল। শান্তির প্রতীক কবুতর, ছোট্ট রাসেল কোনোদিন কবুতরের মাংস খেত না। শিশুকালে কবুতরের সঙ্গে রাসেলের এ সখ্যতা আমরা প্রধানমন্ত্রীর জননেত্রী শেখ হাসিনার লেখায় দেখতে পাইÑ ‘রাসেল যখন হাঁটতে শিখে, তখন নিজেই কবুতরের পেছনে ছুটতো, নিজ হাতে করে তাদের খাবার দিতো।’

সম্ভাবনার এক উজ্জ্বল আলোকখণ্ড শেখ রাসেল। জন্মের দু’বছর পরে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ‘ছয়দফা’ ঘোষিত হলো, ছোট রাসেলের হাসি-কান্না ইতিহাসের এ আবহে মিশ্রিত। পিতা গণমানুষের মুক্তির রাজনীতি নিয়ে সদা ব্যস্ত, ছোট শিশুর ভূমিষ্ঠের সময় স্ত্রীর কাছে ছিলেন না, ভূমিষ্ঠকালে নিষ্পাপ শিশু রাসেলের মুখটি দেখতে পাননি বঙ্গবন্ধু। কাজেই বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক এ কর্মজীবনের সরাসরি অংশীজন হয়ে যায় ছোট রাসেল। এভাবে অবারিত স্বচ্ছ জলরাশি ঘেরা লেকের পাশে ছোট্ট রাসেলের পরিমণ্ডল আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে।

’৬৭-এর আগরতলা মামলা, ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, ’৭০-এর নির্বাচন এবং সর্বোপরি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ঐতিহাসিক ঘটনা প্রবাহের মাঝে রাসেল হাঁটতে শিখেছে, কথা বলতে শিখেছে এবং বাবা-মা ও ভাইবোনদের সঙ্গে অনুভূতি প্রকাশ করতে শিখেছে, বিশেষ করে ‘হাসু আপা’র সাথে। স্বাধীনতার চূড়ান্ত বিজয় হলে বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরলে আস্তে আস্তে পিতার সান্নিধ্যে আসতে থাকে, পিতৃস্নেহ কী সেটা বুঝতে থাকে, অনুরণিত হতে থাকে মস্তিষ্কে। জননেত্রী শেখ হাসিনার লেখায় উল্লেখ আছে- ‘রাসেল আব্বাকে ছায়ার মতো অনুসরণ করতো। আব্বাকে মোটেই ছাড়তে চাইতো না। যেখানে যেখানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব আব্বা ওকে নিয়ে যেতেন। মা ওর জন্য প্রিন্স স্যুট বানিয়ে দিয়েছিলেন। কারণ আব্বা প্রিন্স স্যুট যেদিন পরতেন রাসেলও পরতো। কাপড়-চোপড়ের ব্যাপারে ছোটবেলা থেকেই তার নিজের পছন্দ ছিলো। তবে একবার একটা পছন্দ হলে তা আর ছাড়তে চাইতো না। ওর নিজের আলাদা একটা ব্যক্তিত্ব ছিলো। নিজের পছন্দের ওপর খুব বিশ্বাস ছিলো। খুব স্বাধীন মত নিয়ে চলতে চাইতো। ছোট মানুষটার চরিত্রের দৃঢ়তা দেখে অবাক হতে হতো। বড় হলে সে যে বিশেষ কেউ একটা হবে তাতে কোনো সন্দেহ ছিলো না।’

অসাধারণ বুদ্ধিদীপ্ত, অফুরন্ত প্রাণবন্ত ছোট রাসেল বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সবার মধ্যমণি ছিল, সবার আদরের ছিল। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আদর করে রাসেলের গাল টিপে দিতেন, হাতে ধরে হাঁটতে শিখিয়েছেন। ছোটবেলা থেকেই রাসেলের সাহসিকতা ও বুদ্ধিদীপ্ত প্রতিভা বঙ্গবন্ধু পরিবারের সবাইকে মুগ্ধ করতো। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মৃতিচারণামূলক লেখায় উল্লেখ আছে- ‘চলাফেরা বেশ সাবধান, কিন্তু সাহসী ছিলো। সহসা কোনো কিছুতে ভয় পেতো না। কালো কালো বড় পিঁপড়া দেখলে হাতে ধরতে যেতো। একদিন একটা ওলা (বড় কালো পিঁপড়া) হাতে ধরে ফেললো, আর সাথে সাথে কামড় খেলো। ছোট্ট আঙুল কেটে রক্ত বের হলো। সাথে সাথে ওষুধ দেওয়া হলো। আঙুলটা ফুলে গেছে। তারপর থেকে আর ধরতে যেতো না। কিন্তু ওই পিঁপড়ার একটা নাম নিজেই দিয়ে দিলো। কামড় খাওয়ার পর থেকেই কালো বড় পিঁপড়া দেখলে বলতো- ভুট্টো। নিজ থেকেই নামটা দিয়েছিলো।’

তিন.
ইতিহাসের নৃশংস নির্মমতা, পাশবিকতা ও পৈশাচিকতা ঘাতকরা ১৫ আগস্টের ট্র্যাজেডির মধ্যে দেখিয়েছে। নববিবাহিত দম্পতি, গর্ভবতী মা, প্রতিবন্ধী শিশুসহ দশ বছরের ছোট্ট রাসেলকেও হত্যা করতে কুণ্ঠাবোধ করেনি ঘাতকরা। ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বর বাড়িতে সর্বশেষ যে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয় সেটা নিষ্পাপ শিশু রাসেলের হত্যাকাণ্ড, সর্বশেষ বুলেট যে বুকটি বিদ্ধ করে সেটা সম্ভাবনাময় এক শিশু শেখ রাসেলের বুক। অবুঝ শিশুর বাঁচার আকুতি ঘাতকের পাষাণ হৃদয়ে কোনো অনুকম্পা তৈরি করতে পারেনি। রক্তপানের নেশায় বুঁদ হয়ে প্রজন্মের সর্বশেষ বাতিঘর শেখ রাসেলকেও হত্যা করে। জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রশ্ন, ‘কেন কেন কেন ঘাতকরা আমার রাসেলকে এত কষ্ট দিয়ে কেড়ে নিলো? আমি কি কোনোদিন এই কেনর উত্তর পাবো?’

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট প্রত্যুষে একদল তরুণ সেনা কর্মকর্তা ট্যাঙ্ক দিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমণ্ডিস্থ ৩২ নম্বর বাসভবন ঘিরে ফেলে বঙ্গবন্ধু, তার পরিবার ও ব্যক্তিগত কর্মচারীদের সাথে শেখ রাসেলকেও হত্যা করা হয়। জাতির পিতা শেখ মুজিবের নির্দেশে রাসেলকে নিয়ে পালানোর সময় ব্যক্তিগত কর্মচারীসহ রাসেলকে ঘাতকরা আটক করে। আতঙ্কিত হয়ে শিশু রাসেল কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেছিলেন, ‘আমি মায়ের কাছে যাব।’ পরবর্তীতে মায়ের লাশ দেখার পর অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে মিনতি করেছিলেন, ‘আমাকে হাসু আপার (শেখ হাসিনা) কাছে পাঠিয়ে দাও।’ ব্যক্তিগত কর্মচারী এএফএম মহিতুল ইসলামের ভাষ্যমতে, ‘রাসেল দৌড়ে এসে আমাকে জাপটে ধরে। আমাকে বললো, ভাইয়া আমাকে মারবে না তো? ওর সে কণ্ঠ শুনে আমার চোখ ফেটে পানি এসেছিল। এক ঘাতক এসে আমাকে রাইফেলের বাট দিয়ে ভীষণ মারলো। আমাকে মারতে দেখে রাসেল আমাকে ছেড়ে দিলো। ও (শেখ রাসেল) কান্নাকাটি করছিলÑ আমি মায়ের কাছে যাব, আমি মায়ের কাছে যাব। এক ঘাতক এসে ওকে বললো, চল তোর মায়ের কাছে দিয়ে আসি। বিশ্বাস করতে পারিনি যে ঘাতকরা এতো নির্মমভাবে ছোট্ট সে শিশুটাকেও হত্যা করবে। রাসেলকে ভিতরে নিয়ে গেল এবং তারপর ব্রাশ ফায়ার।’

১৯৯৭ সালে খুনি রশিদ লরেন্স লিফশুলজকে জানাল, সেই রাতে বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্য সদস্যদের হত্যার নির্দেশ পাননি। কিন্তু সে স্বীকার করলো যে তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার জন্য প্রস্তুত ছিল। যখন লরেন্স রশিদকে জিজ্ঞেস করলো কেন তারা বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যসহ বাইরের অনেককে হত্যা করলো? প্রতিত্তোরে রশিদ জানালো যে তার কমান্ডের বাইরেও কিছু ফোর্স অন্যান্য হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। বিস্তারিত জানতে লরেন্স প্রশ্ন করলে, রশিদ এ বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা দেননি।

ভারতীয় লেখক সলিল ত্রিপাতি রশিদের খুবই কাছের ও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের অন্যতম খুনি ফারুকের ১৯৮৬ সালে একটি সাক্ষাৎকার নেন। বঙ্গবন্ধু কনিষ্ঠ পুত্র দশ বছরের রাসেলকে কেন হত্যা করা হলো জানতে চাইলে, ত্রিপাতি প্রশ্নটির সরাসরি উত্তর পেলেন। ফারুকের মন্তব্যÑ ‘এটা ছিল একটা মার্সি কিলিং, মুজিব রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে ছিল। তাদের সবাইকে খতম করতে হয়েছিল।’ ভারতীয় লেখক ত্রিপাতি বলেন, ‘সে কথাগুলো আমাকে বলার সময় চূড়ান্ত খতমের তিব্রতা দেখা গেল, তার পায়ের সামনে যারাই পরলো, তাদেরই মস্তক উড়িয়ে দেওয়ার নেশায় মেতেছিল তারা। তাদের চোখে কোনো মায়া ছিলো না, কোনো অনুশোচনা ছিলো না, শুধু ছিলো খতম আর উৎখাতের অহংকার।’

সবশেষে, আমার লেখা ‘সার্বভৌমের হিমোগ্লোবিন’ কবিতায় উল্লেখ আছে ছোট্ট রাসেলের করুণ আকুতির কথা- করুণ সুরের দুঃখগুলোর নৈশব্দিক রোদনে,/জমাট বাঁধা পাথর বহি হৃদয়ে,/আজো কাতরানো স্বর শূন্যতায় ভাসে, বাঁচার আকুতি নিয়ে,/‘শিশিরের ফোঁটার মতো দু’ফোটা পানি যদি দাও কম্পিত ঠোঁটে’/বাতাসের চুম্বনে ঘুমিয়ে গেল অবুঝ শিশুটি,/বুলেটের সরু বীজটি, বিঁধে দিলো নিষ্পাপ বুকটি;/বুকের ক্ষুব্ধ ব্যথার বিদ্রোহ জেগেছে, নতুন দ্রোহে।

 লেখক : কবি ও সাংবাদিক

  • জাতির পিতা
  • শেখ মুজিবুর রহমান
  • শেখ রাসেল
  • #