ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, একটি সরকারের পতন হয়েছে। সেই সরকারের অবশিষ্ট সময় পূরণের জন্যই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বসানো হয়েছে। তার চেয়ে বড় কথা রাষ্ট্র সংস্কার প্রসঙ্গ। সংস্কার না করে নির্বাচন দিলে রাষ্ট্র নড়বড়ই থেকে যাবে। তাই সরকার সংস্কারে গভীরভাবে কাজ করছে। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন কবে দেবে- বড় হয়ে উঠা এই প্রশ্নের মধ্যে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাকে ‘ব্যক্তিগত বক্তব্য। এই দুইজনের বক্তব্য সরকারের বক্তব্য নয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারের হিলডাউন সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে ধর্ম উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
নির্বাচন নিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, গত ৮ অগাস্ট সংবিধান সমুন্নত রাখার শপথ নিয়ে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে যে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নিচ্ছে, তারা নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট কোনো রূপরেখা ঘোষণা করেনি।
অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু বিষয়ে সংস্কারকে গুরুত্ব দিচ্ছে। শুরুর দিকে বিএনপি সরকারকে সময় দেওয়ার কথা বললেও এখন নির্বাচন চাইছে, অন্তত নির্বাচন কবে হবে, সে বিষয়ে ঘোষণার দেওয়ার দাবিও জানাচ্ছেন নেতারা।
চ্যানেল আইয়ের সংবাদ পর্যালোচনামূলক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, আমার কাছে মনে হয়, রিয়েলিস্টিক্যালি আগামী বছরের মধ্যে (২০২৫) ইলেকশন করাটা হয়ত সম্ভব হতে পারে।
সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধানও বলেন, সংস্কারের মধ্য দিয়ে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে বাংলাদেশের ‘গণতন্ত্রে উত্তরণ’ ঘটা উচিত। তবে সেজন্য সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে।