পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মিরাজুল ইসলাম মিরাজের নেতৃত্বে জামায়াত ইসলামীর তিন নেতার হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের আমিরাবাদ বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলা জামায়াত ইসলামীর সদস্য ও নারায়ান পাশা মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. ওজিবুল্লাহ (৪০), সদস্য মো. নাঈম আবদুল্লাহ (৩৫) ও মো. আলামিন (৩০)। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জামায়াতের দলীয় সূত্র ও আহতরা জানান, উপজেলা জামায়াত ইসলামীর সদস্য মাওলানা ওয়াজিবল্লাহ নারায়ান পাশা জামে মসজিদে গতকাল শুক্রবার জুম্মার নামাজের আলোচনায় জামায়াতের পক্ষে কথা বলেন। তখন মসজিদে উপস্থিত কনকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসনের ছেলে ছাত্রদল নেতা রাসেল জামায়াত নিয়ে আলোচনা করতে বাধা দেন। এনিয়ে মসজিদে ওই ছাত্রদল নেতার সঙ্গে ইমামের তর্ক হয়।
এ ঘটনার জেরে ঘটনার দিন বেলা ১১টার দিকে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিরাজ, ছাত্রদল নেতা রাসেলসহ ২৫-৩০জন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে জামায়াত নেতা ওজিবুল্লাহ, নাইম ও আলামিনের ওপর হামলা চালায়। এসময় পিটিয়ে তাদের আহত করা হয়। এতে আলামিন গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এদিকে, এ হামলার প্রতিবাদে বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন উপজেলা জামায়াত ইসলামী। উপজেলা জামায়াতের আমির মো. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে এ মিছিল বের করা হয়।
প্রতিবাদ মিছিল শেষে বিক্ষোভ সমাবেশে হামলার প্রতিবাদ ও জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়ে বক্তব্য দেন উপজেলা জামায়াতের আমির মো. রফিকুল ইসলাম।
অভিযুক্ত উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিরাজের এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার ফোনে একাধিক বার ফোন করা হলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।