বরিশালে এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার দিবাগত রাতে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার একটি ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ রাতেই স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে বরিশাল বিমানবন্দর থানায় এসে একটি মামলা করেন। পরে পুলিশ আজ রোববার ভোরে অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত হলেন বরিশালের উজিরপুর উপজেলার মার্দাশী গ্রামের শাহীন হাওলাদার (২৫), তাঁর সহযোগী একই গ্রামের শাহ আলম (২৫), সবুজ হাওলাদার (২২), একই উপজেলার মুন্ডুপাশা গ্রামের মিঠু চাপরাশী (২৬) ও বাকেরগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণকাঠি গ্রামের জাহিদ হাওলাদার (৩৭)। এর মধ্যে জাহিদ ওই আবাসিক হোটেলটির বয়।
বরিশাল বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির সিকদার বলেন, গৃহবধূর স্বামী বরিশাল নগরে ব্যবসা করেন। এ সুবাধে নগরের একটি আবাসিক হোটেলে তিনি স্বামীর সঙ্গে থাকতেন। এই দম্পত্তি এখন একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। গত শনিবার বিকেলে নগরে আসেন ওই গৃহবধূ। তখন তাঁকে দেখতে পেয়ে হোটেলের বয় জাহিদ এসে কথা বলেন। একপর্যায়ে জাহিদ গৃহবূকে জানান শাহিন নামের এক ব্যক্তির কাছে তাঁর স্বামীর সঙ্গে রাতযাপনের ভিডিও রয়েছে। ওই ভিডিও মুছে ফেলার আশ্বাস দিয়ে জাহিদ গৃহবধূকে বলেন, মুঠোফোনটি তাঁর এক আত্মীয়ের বাসায় রয়েছে। পরে বাবুগঞ্জের রহমতপুর সেতু এলাকার কথিত আত্মীয়ের বাসায় গৃহবধূকে নিয়ে যান জাহিদ। সেখানে গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন শাহীন ও তাঁর সহযোগী শাহে আলম। তখন গৃহবধূ ডাক-চিৎকার দিলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ওসি আরও বলেন, ওই গৃহবধূ গতকাল গভীর রাতে স্বামীকে নিয়ে থানায় এসে এ ব্যাপারে অভিযোগ দেন। অভিযোগ পেয়ে আজ ভোরে ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে চারজন ও আবাসিক হোটেল থেকে জাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। গৃহবধূকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।