ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গের কাছে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’। বৃহস্পতিবার সকালে আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে। বুধবার থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে শুরু করবে। তবে ঝড়টি কোথায় আছড়ে পড়বে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, প্রতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিবেগে বইতে পারে ঝড়। ফলে সমুদ্র হবে উত্তাল। ২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় আইলার গতিবেগও ছিল প্রতি ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার। তাই আবারও ঝড়ের প্রভাবে সব তছনছ হয়ে যেতে পারে কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রাত কাটাচ্ছেন উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দারা।
সম্ভাব্য দুর্যোগের আশঙ্কায় আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা। আগাম সতর্কতা হিসেবে বুধবার (২৩ অক্টোবর) থেকে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) পর্যন্ত ওড়িশার ১৪ জেলায় সব স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলোতেও মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে।
হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ তৈরি হলে তা সাগরদ্বীপ ও পুরীর মধ্যবর্তী কোথাও আছড়ে পড়তে পারে। আর সেই আঘাতের আগে সতর্ক দুই রাজ্যের প্রশাসনই। সৈকত শহর পুরী মঙ্গলবারের মধ্যেই দৃশ্যত পর্যটকশূন্য করে দেয়া হচ্ছে।
এক প্রতিবেদনে আনন্দবাজার বলছে, পশ্চিমবঙ্গের দুই উপকূলবর্তী জেলা- পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আগাম সতর্কতা নিয়েছে প্রশাসন। দুর্যোগের আশঙ্কায় সোমবার থেকেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা শুরু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা, সাগরদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা, বকখালিসহ বিভিন্ন উপকূলবর্তী অঞ্চলে।
আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, নিম্নচাপ অঞ্চলটি ক্রমে শক্তি বৃদ্ধি করে প্রথমে নিম্নচাপ, তারপর গভীর নিম্নচাপ এবং বুধবার সকালের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। এরপর সেটি অগ্রসর হবে উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম অভিমুখে। জলভাগের ওপর দিয়ে অগ্রসর হওয়ার কারণে এটির শক্তি আরও বৃদ্ধি পাবে।