পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ডাকাতির সময় হামলায় আহত লাবু মিঞা (৫২) নামে এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। লাবু মিঞা দেবীগঞ্জ পৌরসভার কামাতপাড়া এলাকার ভোলা মিঞার ছেলে।
এ ঘটনায় মারধর ও ডাকাতির মামলায় স্থানীয় যুবদলের এক নেতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার রাতভর দেবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন দেবীগঞ্জ পৌর যুবদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ও দেবীগঞ্জ পৌরসভার বাজারপাড়া এলাকার বাসিন্দা আজিজুল বারী সোহেল (৩৯), দেবীগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক দলের কর্মী ও দেবীগঞ্জ পৌরসভার মধ্যপাড়া এলাকার বাসিন্দা জাকির হোসেন (৩৮), দেবীগঞ্জ পৌরসভার বোডিংপাড়া এলাকার সাজু ইসলাম (২৫), মধ্যপাড়া এলাকার হৃদয় ইসলাম ওরফে বেলী (২০) এবং তালতলা এলাকার সমির ফকির (৩৫)। এ সময় ডাকাতি ও হামলার কাজে ব্যবহৃত একটি কুড়াল এবং একটি চেইন স্টিক জব্দ করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৫ আগস্ট রাতে পৌর এলাকায় সাহা হাস্কিং মিলে (চালকল) ডাকাতির ঘটনা ঘটে। মিলে পাহারার দায়িত্বে ছিলেন আমিনুর ইসলাম ও লাবু মিঞা। এ সময় ডাকাতেরা দুই নিরাপত্তাকর্মীর মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে মিল অফিসের আলমারি ভেঙে নগদ অর্থ নিয়ে যায় তারা।
পরদিন সকালে মিলমালিকের ছোট ভাই সুব্রত কুমার সাহা রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদের দেখতে পান। পরে তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। আমিনুর ছয় দিন চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। তিনি এখন শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
এ ঘটনায় ১৬ অক্টোবর সাহা হাস্কিং মিলের স্বত্বাধিকারী নন্দন কুমার সাহা বাদী হয়ে দেবীগঞ্জ থানায় ডাকাতির মামলা করেন। সেই মামলায় ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, ডাকাতির ঘটনায় চিকিৎসাধীন একজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। গ্রেপ্তার পাঁচজনের মধ্যে একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অপর চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। আগামী সোমবার রিমান্ড শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।