বরিশালের বানারীপাড়া পৌরশহরের অধিকাংশ রাস্তা-ঘাট গর্ত ও খানাখন্দে পরিণত হয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে পৌরবাসীকে অন্তহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বেহাল হয়ে পড়া এ রাস্তাগুলোতে দুর্ঘটনা নিত্যনৈমেত্তিক ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে জন দুর্ভোগ বহুগুণ বেড়ে গেছে। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে এক পশলা বৃষ্টি হলেই পৌর শহরের বিভিন্ন রাস্তায় হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে যায়।
এছাড়া পৌরশহরের ১ নং ওয়ার্ড থেকে ৯ নং ওয়ার্ডের প্রতিটি রাস্তায় পিচ, পাথর ও খোয়া উঠে শত শত গভীর গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় সেখানে বৃষ্টির পানি জমে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়। হাসপাতালের সম্মুখের রাস্তাটা এতোই খারাপ যে কোনো সুস্থ মানুষের চলাফেরাই কষ্টকর রোগীদের জন্য তো দুর্ভোগ চরমে।
একিকে পৌর শহরের মধ্যকার বানারীপাড়া সরকারি ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন পাইলট স্কুলের মাঠের মধ্যকার রাস্তাটির প্রধান গেট স্কুল চলাকালীন সহ বিভিন্ন অজুহাতে বন্ধ করে দেয়ায় বাইপাস রাস্তাটি ৬ নং ওয়ার্ডের ভিতরে দিয়ে বাসস্ট্যান্ড ও কলেজ মোড় যেতে দুর্বিষহ হয়ে পড়ে চলাচলকারী সর্বসাধারণের জন্য।
এছাড়া রাস্তা কেটে ড্রেন নির্মাণ করা ও রাস্তা কেটে ব্যক্তিগত বাসা-বাড়ির পানির লাইন ড্রেনের সঙ্গে সংযোগ দেওয়ার ফলে রাস্তা গুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
পৌরশহরের হাসপাতাল খালটি বেদখলে রয়েছে অনেকাংশ, অন্য খালগুলো উদ্ধারে পৌর কর্তৃপক্ষের কোন উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছেনা। পৌর শহরের সিংহভাগ খাল,শতাধিক পুকুর ও ডোবা-নালা বরাট হয়ে যাওয়ায় এবং অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে বৃষ্টি হলেই পৌর শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ব্যক্তিগত হলেও পুকুর,জলাশয় ও ডোবা-নালা বরাট করতে হলে পরিবেশ অধিদপ্তর ও পৌর কর্তৃপেক্ষর অনুমতি নেওয়ার বিধান থাকলেও অনুমতি ছাড়াই প্রতিনিয়ত বালু দিয়ে এসব বরাট করা হচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় খানা-খন্দে একাকার হয়ে গেছে। অটোবাইক-ইজিবাইক, প্রাইভেটকার, মাইক্রো, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। মানুষ হেঁটে চলাচল করাও কষ্টকর হয়ে গেছে।
সদ্য সাবেক মেয়র সুভাষ শীলের আমলে তেমন কোনো উন্নয়ন পৌরসভায় পরিলক্ষিত হয়নি, তৎকালীন আমলে তার কাছে রাস্তাঘাট সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি সব সময় বলতেন যে বৃষ্টি সিজন গেলেই রাস্তার কাজ ধরব এভাবে পৌরবাসীকে বোকা বানিয়ে গেছেন তিনি। তিনি আরও বলতেন যে বিরাট বরাদ্দ আসতেছে উন্নয়ন করার যায়গাও খুঁজে পাওয়া যাবে না এমন করে আশ্বাস দিয়ে সময় পার করে গেছেন।
এ বিষয়ে বানারীপাড়া পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা মুসতাহসিন তাসমিম রহমান অনিন্দ্র ফোন দিলে তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।