পুলিশের ছয়টি ব্যাচের অন্তত পাঁচ শতাধিক সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পদে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে নতুন করে তদন্ত শুরু হয়েছে। এছাড়াও ওইসব ব্যাচে যারা চান্স পান নাই তাদের বিষয়েও অনুসন্ধান হচ্ছে বলে জানা গেছে। পুলিশসহ জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার একটি সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অনুসন্ধান শুরু হওয়া বিসিএস ওই ব্যাচগুলোর মধ্যে রয়েছে ২৮, ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৪০ ও ৪১ তম বিসিএস ব্যাচ।
সারদা পুলিশ অ্যাকাডেমির একটি সূত্র জানায়, ২৮ তম ব্যাচে দুই শতাধিক, ৩৬ তম ব্যাচে ১১৮, ৩৭ তম ব্যাচে ১০০, ৪০ তম বিসিএসে ৬৬ এএসপি বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এদের মধ্যে ৪০ তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের এএসপিদের সমাপনী কুচকাওয়াজ সম্পন্ন হয়নি।
পুলিশ হেড কোয়াটারের স্মারক নং ৪৪.০১.০০০০.০১৯.৩৬০০৯.২৪-২৩৯১ তাং ২০/১০/২০২৪ এ দেখা যায়, ২৮, ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৪০ ও ৪১ তম বিসিএস এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পুলিশ ক্যাডারে নিয়োজিত সংযুক্ত তালিকায় বর্ণিত প্রার্থীদের পুনরায় প্রাক-চাকরি জীবনবৃত্তান্ত যাচাইকরণের নির্দেশনা পাওয়া গেছে। এ লক্ষ্যে প্রার্থীদের সম্পর্কে সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার নিম্নে নয় এমন একজন কর্মকর্তাকে সবোচ্চ গোপনীয়তা বজায় রেখে অনুসন্ধন সম্পন্ন করে প্রতিবেদন অতীব জরুরি ভিত্তিতে এসবি ডট এসএসভিআর অ্যাটদারেট পুলিশ ডট গভ ডট বিজি ইমেইলে প্রেরণের জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হলো।
ওই স্মারকে সংশ্লিষ্ট পুলিশ ক্যাডারের ফেসবুক আইডি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম, সেশন, রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা, দুজন বন্ধুর নাম, মোবাইল নম্বর ও ঠিকানা, থানার রেকর্ড, এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তি তার প্রতি ধারণা এবং পরিবারের নিকটআত্মীয়ের নাম ও পদবি ছক আকারে জানতে চাওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে কথা বলতে সারদা পুলিশ অ্যাকাডেমির অধ্যক্ষ ও পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মাসুদুর রহমান ভুইঞার অফিসিয়াল মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে পুলিশ হেড কোয়াটারের মিডিয়া ইউনিটের এআইজি এনামুল হক সাগর বলেন, এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য আমার জানা নেই।
এর আগে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ৪০ তম ব্যাচের আড়াই শতাধিক প্রশিক্ষণার্থী এসআইকে ডিসচার্জ (বরখাস্ত) করা হয়। সেইসঙ্গে অর্ধশতাধিক এসআইকে কারণ দর্শাতে বলা হয়।