চট্টগ্রাম নগরের খুলশী থানাধীন সেগুনবাগান এলাকায় চাঁদাবাজি, দখল ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এ ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের ছয়জন আহত হন। খুলশী থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর ফারুক ও থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলমের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে।
পুলিশ ও বিএনপি সূত্র বলছে, এলাকার চাঁদাবাজি, দখল ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে সংঘর্ষে জড়িয়েছে খুলশী থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর ফারুক ও থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলমের অনুসারীরা। ওমর ফারুক নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এস কে খোদা তোতনের অনুসারী। সন্ধ্যায় সেগুনবাগান এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়। পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এস কে খোদা তোতন ওমর ফারুকের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। পরে ওমর ফারুক বলেন, শাহ আলম ও তাঁর অনুসারীরা এলাকায় চাঁদাবাজি ও দখলদারি করে আসছিলেন। প্রতিবাদ করার কারণে তাঁদের ওপর চড়াও হয়েছেন। আজ বিকেলে এলাকায় গিয়ে গুলিবর্ষণ করেছেন শাহ আলম ও তাঁর অনুসারীরা। এতে তাঁর ছেলে মো. কাউসারসহ দুজন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবারও মারামারি হয়েছে।
ওমর ফারুকের বক্তব্যের বিষয়ে থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম বলেন, এ কে খোদা তোতনের অনুসারীরা তাঁদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। গতকাল রাতে প্রথম দফায় হামলা হয়। পরে আজ সন্ধ্যায়ও হামলা করা হয়েছে। বর্তমানে ওমর ফারুক জুয়া ও রেলওয়ের যন্ত্রপাতি কেনাবেচার নিয়ন্ত্রণ করছেন। এসবের প্রতিবাদ করার কারণে হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় তাঁদের চারজন আহত হয়েছেন। গুলিবর্ষণের বিষয়ে তাঁর বক্তব্য হলো, তাঁর কোনো অনুসারী গুলি ব্যবহার করেননি। উল্টো এস কে খোদা তোতনের অনুসারীরা গুলি ছুড়েছেন। এর মধ্যে ফারুকও ছিলেন।
জানতে চাইলে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মজিবুর রহমান বলেন, বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। ঘটনা কেন ঘটেছে, কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।