বাংলাদেশের জন্য চার দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। ঋণের তিন কিস্তির অর্থ ইতিমধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে। ঋণের চতুর্থ কিস্তি পুনর্বিবেচনা করতে আইএমএফের প্রতিনিধি দল আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় আসছে।
গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনে আইএমএফের সদরদপ্তরে বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান সংস্থাটির কর্মকর্তারা। সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে দেশের প্রতিনিধিদল আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক বৈঠকে অংশ নেন।
আইএমএফের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন বলেন, চার দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার ঋণের চতুর্থ কিস্তি পেতে বাংলাদেশ ভালো অগ্রগতি অর্জন করছে। পরবর্তী পর্যালোচনার জন্য আলোচনা চলছে।
গত ২৪ অক্টোবর ওয়াশিংটনে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক পূর্বাভাস নিয়ে সংবাদসম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ঢাকায় আলোচনা হয়েছে। ঋণের বিষয়টি কীভাবে এগিয়ে যাওয়া যায়, তা নিয়ে ওয়াশিংটনে আলোচনা চলছে। আগামী বৈঠকে আরও আলোচনা হবে।
গত জুন পর্যন্ত চার দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার ঋণের চতুর্থ কিস্তির জন্য বাংলাদেশ সাত শর্ত পূরণ করেছে কি না, তা পর্যালোচনা করবে আইএমএফ প্রতিনিধিদল। বাংলাদেশ কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়া সব শর্তই পূরণ করেছে। আইএমএফের লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে, গত জুন পর্যন্ত সরকারের কর আদায়ের কথা ছিল ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা।
আইএমএফের আরেক শর্ত ছিল নেট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ (এনআইআর) বাড়ানো। তৎকালীন সরকারের অনুরোধে গত মে মাসে আইএমএফ এই হার কমিয়ে দেওয়ায় শর্তটি পূরণ হয়েছিল। গত ৩০ জুনের মধ্যে প্রাথমিক এনআইএফ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার। মে মাসের শেষের দিকে আইএমএফ তা ১৪ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনে। গত ৩০ জুন পর্যন্ত দেশের এনআইআর ছিল ১৬ দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার। এর আগে বাংলাদেশ ঋণের প্রতিটি কিস্তির শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে আইএমএফ তা সংশোধন করে।