মামলা নিয়ে ছাত্রদলের দুগ্রুপের সংঘর্ষ

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ২ মাস আগে

ফেনীর সোনাগাজীতে ছাত্রদলের দুপক্ষের সংঘর্ষে ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। বুধবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সোনাগাজী পৌরশহরে ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদেরকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিগত বেশ কিছুদিন ধরে স্থানীয় আধিপত্যকে ঘিরে ছাত্রদলের দুপক্ষের মধ্য বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে গত সোমবারও (২৮ অক্টোবর) সোনাগাজী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের মো.মিরাজ ও মো.রায়হান নামে দুইকর্মীর ওপর হামলার ঘটনার ঘটে।

দলীয় নেতাকর্মীরা জানায়, গত সোমবার দুপুরে সোনাগাজী সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে কলেজ ছাত্রদলের কর্মী মেহেদী হাসান মিরাজ ও রায়হানের ওপর ছাত্রলীগ কর্মীরা হামলা করেন। এ ঘটনায় ছাত্রদলের একাংশের নেতা উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিন পিয়াসকে দায়ী করে ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির একাংশ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে পৌরশহরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। রাতেই আহত ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান মিরাজের মা খাদিজা বেগম বাদী হয়ে ২২ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলায় মেজবাহ উদ্দিন পিয়াসসহ সাত জনের নাম উল্লেখসহ ও অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১৫জনকে আসামি করা হয়।
ছাত্রদল নেতা পিয়াসের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব নুর আলম সোহাগের নেতৃত্বে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বুধবার সন্ধ্যায় মিছিল বের করেন। মিছিলটি শহরের কাস্মিরবাজার সড়কের সামনে গেলে উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলামের পক্ষের নেতাকর্মীরা বাধা দেন। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ সময় একপক্ষ অন্যপক্ষকে লাঠিসোটা, রড, পাইপ দিয়ে আঘাত করার পাশাপাশি ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।

সংঘর্ষ চলাকালে বাজারে ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। বন্ধ হয় সব দোকানপাট।

ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম পক্ষের নেতা নুরুল আলম দাবি করেন মিছিল থেকে তাদের ওপর নুর আলম ও রিংকুর নেতৃত্বে হামলা হয়। এতে তাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়।

অপরদিকে সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব নুর আলম সোহাগ দাবি করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক খুরশিদ আলম ভূঁইয়ার অনুসারীরা অতর্কিত হামলা করেন। এতে তাদেরও বহু নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান ছাত্রদলের দুগ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত ৯টা) কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • ছাত্রদল
  • সংঘংর্ষ
  • #