রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিটের (আরএফসিডি) সুদের হার নির্ধারণে এখন থেকে ব্যাংকগুলোকে আর সিকিউরড ওভারনাইট ফাইন্যান্সিং রেটের (সোফর) সীমা মেনে চলতে হবে না। এতে এখন থেকে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে এ আমানতের সুদহার নির্ধারণ করা যাবে। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
আরএফসিডি অ্যাকাউন্ট হলো এক ধরনের সেভিংস অ্যাকাউন্ট। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের বাসিন্দারা বৈদেশিক মুদ্রা জমা রাখতে এবং ব্যবহার করতে পারেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতদিন সোফর রেটের সঙ্গে সর্বোচ্চ দেড় শতাংশ যুক্ত করে গ্রাহকদের সুদের হার নির্ধারণ হতো। কিন্তু এখন আর সেই সীমা থাকল না। ফলে ব্যাংকগুলো প্রয়োজনে ডলার আমানতে ইচ্ছামতো সুদ দিতে পারবে।
অন্যদিকে প্রবাসীরাও ডলার ব্যাংকে রাখার সময় সুদহার বেশি পেতে দরকষাকষি করতে পারবেন। এ উদ্যোগের ফলে ব্যাংকে ডলারের প্রবাহ বাড়বে। কারণ বিদেশফেরত যে কেউ এখন ব্যাংকে ডলার রাখলে আগের তুলনায় বেশি মুনাফা দাবি করতে পারবেন। ফলে ঘরে ফেলে রাখার চেয়ে ডলার ব্যাংকে আমানত হিসেবে রাখবেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়, রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট (আরএফসিডি) হিসাবের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্ধারিত সুদহারের সীমা আর থাকবে না। এখন থেকে সুদহার নির্ধারণ হবে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক গত বছরের ৩ ডিসেম্বর থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে মানুষের ঘরে রাখা ডলার ব্যাংকে ফেরাতে আবাসিক বৈদেশিক মুদ্রা আমানত বা আরএফসিডি হিসাবের ওপর সুদসহ বাড়তি সুবিধা দেয়ার সুযোগ করে দেয়।