৫ আগস্ট বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এই সরকার ও তার সংস্কার প্রক্রিয়ায় জো বাইডেনের নেতৃত্বে মার্কিন ডেমোক্র্যাট সরকারের আছে ব্যাপক সমর্থন। আর সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, তার স্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনের সঙ্গে রয়েছে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক। ২০১৬ সালে হিলারিকে হারিয়ে যখন ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হন, তখন ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রেই ছিলেন। হিলারির পরাজয়ে তিনি আহত হয়েছিলেন। সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তখন ড. ইউনূস বলেছিলেন, ‘মার্কিন নির্বাচন ভুল রাজনীতির শিকার হয়েছে।’ তিনি ট্রাম্পকে নেতিবাচকতা পরিহার করে উন্নয়নের সম্পর্কের সেতু তৈরি করার কথাও বলেন। আর ওই নির্বাচনকে তুলনা করে সূর্যগ্রহণের সঙ্গে।
অন্যদিকে ট্রাম্পও ওই সময়ে ড. ইউনূস সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন। বাংলাদেশি-অ্যামেরিকান একটি প্রতিনিধিদল ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি মন্তব্য করেছিলেন, ‘ঢাকার ক্ষূদ্রঋণওয়ালা কোথায়?’ ট্রাম্প তার শাসনামলে বাংলাদেশি নারী প্রিয়া সাহার অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা। আর সর্বশেষ নির্বাচনের কয়েকদিন আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার এক্সে বলেছেন, ‘আমি বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বরোচিত সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। দেশটিতে দলবদ্ধভাবে তাদের ওপর হামলা ও লুটপাট চালানো হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন পুরোপুরিভাবে একটি নৈরাজ্যকর অবস্থার মধ্যে রয়েছে।’
এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস এখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। ফলে আগের ব্যক্তিগত মন্তব্য বা সম্পর্ক কতটা প্রভাব ফেলকে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। জানুয়ারিতে ট্রাম্প যখন শপথ নেবেন তখন হয়ত পরিস্থিতি স্পষ্ট হবে। তবে বিশ্লেষকরা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ট্রাম্পের অবস্থান নিয়ে দুইটি বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছেন।