চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন প্রযোজক সিমি ইসলাম। গত ২৪ অক্টোবর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলা করেন।
একই মামলার ৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে আলোচিত-সমালোচিত ইউটিউবার হিরো আলম ও জাহিদুল ইসলাম আপনকে। অপু বিশ্বাসের ইউটিউব চ্যানেলের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন জাহিদুল ইসলাম।
প্রযোজক সিমি ইসলামের দাবি, তার ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক করেছেন অপু বিশ্বাস ও জাহিদুল ইসলাম। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। এরপর চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টাও করেন। কিন্তু কোনো উপায় না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।
অপু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পর নীরবতা ভেঙে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন এই অভিনেত্রী। একটি গণমাধ্যমে অপু বিশ্বাস বলেন, এই মহিলাকে (সিমি ইসলাম কলি) নিয়ে আর পারি না। ওনার তো সবকিছু দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার মামলা কীসের! আমি এ বিষয়ে জানিই না, এসব তো ফাজলামো।
মামলার এজহারে বলা হয়েছে, হিরো আলমের মাধ্যমে সিমি ইসলামের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছেন অপু বিশ্বাস। এ তথ্য উল্লেখ করার পর অপু বিশ্বাস বলেন, এখানে হিরো আলম এল কোথা থেকে! এটা সিমিই ভালো বলতে পারবেন। আমি তাকে ঠিকঠাকভাবে চিনিও না। আমি কী উত্তর দিতে পারি বলেন! সে টাকা কোথায় দিল কাকে দিল- জানি না। এখন মনগড়া কথা বলছে কেন! আমার আস্থা এই সরকার ও আইনের প্রতি। সে টাকা কোথায় দিয়েছে কেন দিয়েছে, তার কিছুই জানি না।
অপু বিশ্বাসের ইউটিউব চ্যানেল অন্য একটি সংস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে উল্লেখ করে অপু বিশ্বাস বলেন, উনি (সিমি) যদি চলচ্চিত্রের মানুষ হয়ে থাকেন, তাহলে এমনিতেই চলচ্চিত্রের দুরবস্থা; এ সময় এসব সিলি ব্যাপার নিয়ে কেন কথা বলছেন? আর আমি এসব দেখি না। আমার অ্যাডমিন দেখেন। অফিসিয়ালি তারা ইউটিউব চ্যানেল নিয়ন্ত্রণ করেন। হয়তো নাম আমার। মালিকানা আমার। কিন্তু আমি নিয়ন্ত্রণ করি না। অন্য সংস্থা দিয়ে চালাই। যদি আমার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হতো তাহলে আমি বলতে পারতাম।
আদালত মামলা তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন তেজগাঁও থানা পুলিশকে। আগামী ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিমি ইসলাম।