গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে। বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকাল পৌনে নয়টার দিকে টঙ্গীর আউচপাড়া এলাকার তারাটেক্স ফ্যাশন লিমিটেড নামক কারখানার শ্রমিকরা এ আন্দোলনে নামেন। বিক্ষুব্ধ কয়েক হাজার শ্রমিক ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এশিয়া পাম্প এলাকায় অবস্থান নিলে মহাসড়কটির উভয় পাশের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
কারখানা সূত্রে জানা যায়, কারখানাটিতে প্রায় দুই হাজার শ্রমিক কাজ করতেন। শ্রমিকদের পাওনা গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন কারখানা মালিক এখনো পরিশোধ করেননি। কয়েকদিন আগে শ্রমিকদের কয়েকজন প্রতিনিধি ও কারখানার কর্মকর্তারা বৈঠক করেন। বৈঠকে সেপ্টেম্বর মাসের বেতন গতকাল মঙ্গলবার পরিশোধ করার কথা থাকলেও পরিশোধ করেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার সকালে কারখানাটির শ্রমিকরা কারখানায় কাজে যোগ দিতে আসেন। কাজে যোগ দেয়ার পূর্বেই বেতন পরিশোধ করতে কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানায়। কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন পরিশোধের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত জানায়নি শ্রমিকদের।
এতে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। পরে সকাল পৌনে নয়টার দিকে শ্রমিকরা কারখানা ছেড়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এশিয়া পাম্প এলাকায় মহাসড়কের উভয় পাশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। মহাসড়ক অবরোধের খবরটি শিল্প পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলছেন।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বলেন, কয়েক দফা আলোচনার পরেও কারখানা মালিক আমাদের বেতন পরিশোধ করেনি। আজ আমরা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে। আমাদের বেতন পরিশোধের ঘোষণা আসলে আমরা সড়ক থেকে সরে যাবো।
তারাটেক্স ফ্যাশন লিমিটেড কারখানাটির মালিক আবুল হোসেন মজুমদার এর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ওপাশ থেকে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক (টঙ্গী জোন) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানা ছেড়ে মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছে। শ্রমিকদের সাথে আমরা কথা বলছি। তাদেরকে সড়ক ছেড়ে কারখানায় ফিরে যেতে অনুরোধ জানিয়েছি।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের (দক্ষিণ) উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ইব্রাহিম খান বলেন, কারখানাটির শ্রমিকরা মহাসড়কে অবস্থান নেওয়ায় সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে টঙ্গীরে শালিকচূড়া থেকে টঙ্গী বাজার ব্রিজ ও গাজীপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে বড় বাড়ি পর্যন্ত দীর্ঘ যানবাহনের সারি রয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন এ সড়ক ব্যবহারকারী যাত্রীরা। শ্রমিকরা সড়ক থেকে সরে গেলেই যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসবে।