উপদেষ্টা হিসেবে সদ্য নিয়োগ পাওয়া মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও সেখ বশিরকে অপসারণ, আগামীতে রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতিটা ক্ষেত্রে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ, আহত ও নিহতদের পরিবারকে পুনর্বাসনসহ ১২ দফা দাবি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশবাসী বিশ্বাস করেন পাবলিক, মাদ্রাসা ও অন্যদের পাশাপাশি প্রাইভেটের অবদান কোনও অংশে কম নয়। এই বিশ্বাস থেকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা ১২ দফা দাবি উত্থাপন করছে।
ছাত্র-জনতার অংশীদারত্ববিহীন সিদ্ধান্তে উপদেষ্টা পরিষদে ফ্যাসিবাদের দোসর মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং সেখ বশিরকে স্থান দেওয়া হয়েছে, যা শহীদের রক্তের সঙ্গে স্পষ্ট বেইমানি ও গাদ্দারি এবং জুলাই বিপ্লবের স্পিরিট পরিপন্থি। জুলাই বিপ্লবের স্পিরিটকে ধারণ করে না, এমন ব্যক্তিদের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে অপসারণ করতে হবে এবং আগামীতে এমন কোনও ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া যাবে না।
ইচ্ছেমতো উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া যাবে না উল্লেখ করে তারা বলেন, উপদেষ্টা পরিষদে কারা যাবে তার একটা কমিটি থাকতে হবে। এতে রাজনৈতিক দল, প্রতিটি প্রাইভেট-পাবলিক, মাদ্রাসা ছাত্ররা অন্তর্ভুক্ত হবে। গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এবং সেই কার্যক্রম পরিচালনায় ছাত্রদের অন্তর্ভুক্তি করে তদন্ত কমিটি করতে হবে। সংবিধান পুনর্লিখন ও সংস্কার করতে হবে। তাদের দাবি, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা যেহেতু নিজস্ব অর্থায়নে পড়ে, সেহেতু ১৫ শতাংশ আরোপিত ভ্যাট বাতিল করতে হবে এবং গবেষণায় বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ও উপদেষ্টারা সার্বিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ছাত্রদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করার কথা থাকলেও তারা সেটা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সেক্ষেত্রে পরবর্তী সময় থেকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ছাত্রদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা। একইসঙ্গে আহতদের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, জুলাই বিপ্লবে আহতদের চিকিৎসায় সমন্বয়হীনতা দেখা গেছে, এটি নিরসন করতে হবে। সর্বোপরি রাষ্ট্রযন্ত্রে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।