চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) গত ১৬ বছরের মধ্যে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ এবং বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে কোনো ধরনের দুর্নীতি বা অনিয়ম হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে ১০ সদস্যবিশিষ্ট একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১২ নভেম্বর চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫৬তম জরুরি সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিগত প্রায় ১৫-১৬ বছরের নিয়োগ ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমে সম্ভাব্য অনিয়ম তদন্তের জন্য এ উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমানকে এই কমিটির সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য সদস্যরা হলেন মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক এস.এম. সালামত উল্যা ভূঁইয়া, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা আক্তার, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অছিয়র রহমান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শাখাওয়াত হুসাইন, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শাহীন চৌধুরী, অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মোর্শেদুল হক, এবং যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহাব উদ্দিন। কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন চবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইউসুফ।
এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. আতিয়ার রহমান বলেন, বিগত ১৫-১৬ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া সবধরনের দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্তে এই কমিটি গঠিত হয়েছে। আমরা দ্রুতই সদস্যদের সাথে আলোচনা করে একটি রোডম্যাপ তৈরি করব। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগসহ সকল ক্ষেত্রে সংঘটিত সম্ভাব্য দুর্নীতি তদন্ত করে তার উত্তরণের জন্য সুপারিশ করাই আমাদের লক্ষ্য।