অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিএনপি-জামায়াতসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। দলগুলোর নেতারা বলেছেন, নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে সরকারের বক্তব্য আরও স্পষ্ট হওয়া উচিত ছিল। করণ গণতন্ত্র রক্ষা ও জনগণের প্রত্যাশা পূরণে দ্রুত নির্বাচনি রোডম্যাপের বিকল্প নেই।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, একটি শক্তিশালী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে যে কাজ করা দরকার, তিনি (ড. ইউনূস) সেটা করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। জাতির আশা আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে মিল রেখেই তিনি কাজ করবেন বলে আমার বিশ্বাস; যাতে গণতন্ত্রকে আরও বেশি শক্তিশালী করা যায়।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, আমাদের কথা হচ্ছে, সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ যত দ্রুত সম্ভব জনগণের কাছে পরিষ্কার করা দরকার। আমরা মনে করি সব কিছু সংস্কার করা তো অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। কিছু জরুরি সংস্কার, যেমন নির্বাচন কমিশন সংস্কার, বিচার বিভাগের সংস্কার, সংবিধানের কিছু বেশি বিষয়ে সংস্কার, এসব জরুরি বিষয় সংস্কার করেই নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাদের বেশি মনোযোগী হওয়া উচিত। সরকারপ্রধানের বক্তব্যে আমরা আশাহত নই- তার বক্তব্যকে আরও সুস্পষ্ট করার জন্য অনুরোধ করব।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, প্রথমত জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণকে ইতিবাচক হিসাবে দেখছি। তিনি মানুষের মধ্যে একটা আস্থাবোধ জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের ক্ষেত্রে মানুষের যে উদ্বেগ, বাজার যে অস্থির ও বেসামাল- এ ব্যাপারে সরকারের দিক থেকে আরও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের কথা মানুষ জানতে পারলে আশ্বস্ত হতে পারত। নির্বাচন নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে কথা বলেছেন, সেখানে ইতিবাচক ইঙ্গিত আছে। তবে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সূচি, সময়রেখা উল্লেখ করতে পারেননি। তিনি যখন বলেছেন, প্রয়োজনবোধে নির্বাচন আরও কয়েক মাস পিছানো যেতে পারে। নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ থাকলে তো নির্বাচন আগ-পিছ করার প্রশ্ন আসত। সেক্ষেত্রে তিনি যদি আরও সুনির্দিষ্ট করে বলতেন, তাহলে দেশের রাজনৈতিক দল, ভোটার ও জনগণ আশস্ত হতে পারত। আর সরকারের পুরো রোডম্যাপ নিয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর সাংগঠনিক প্রস্তুতির বিষয় আছে। এবারের বক্তব্যে তিনি খানিকটা স্পষ্ট করেছেন, কিন্তু আরও স্পষ্ট করার সুযোগ ছিল।