আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৭-৮ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ইনস্টিটিউট ভবনের দরজা-জানালাও ভাঙচুর করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। হামলার জন্য ছাত্রদল-ছাত্রশিবির একে অপরকে দায়ী করেছে।
ছাত্রদলের অভিযোগ-সাধারণ শিক্ষার্থীর বেশে ছাত্রশিবির প্রশাসনকে জিম্মি করে হলগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। একজন সাধারণ শিক্ষার্থীও হলে সিট বরাদ্দের আবেদন করতে পারেনি।
শিক্ষার্থীরা জানান, প্রায় ১৫ বছর পর বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের নবাব সিরাজউদ্দৌলা ও সূর্যসেন ছাত্রাবাস দুটি খুলে দেওয়া হয়। বুধবার ছাত্রাবাসে কক্ষ বরাদ্দ পাওয়া শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। সেই তালিকা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিকালে ছাত্রদের হলে নেওয়া শুরু হয়।
বিকালে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সেখানে জড়ো হয়ে কক্ষ বরাদ্দ নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। তবে প্রশাসন তাদের প্রতিবাদে কর্ণপাত করেনি। খবর পেয়ে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল ইসলাম ও সদস্য সচিব শরীফুল ইসলাম তুহিন সেখানে যান। এরপরই দুপক্ষই হামলা, পাল্টা হামলা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ছাত্রশিবিরের মহানগর উত্তরের প্রচার সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আকাশ জানান, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী ও বহিরাগতদের নিয়ে ছাত্রদল নেতারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে। তাদের বয়স ৩০-৪০ বছরের কাছাকাছি। তারা ছাত্র সেজে টোকাই ও পতিত ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীকে নিয়ে ক্যাম্পাসে এসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে। এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশ উত্তর জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) ফয়সাল আহমেদ জানান, আবাসিক হলের সিট বরাদ্দের পর হলে ওঠাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে এখন ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।