জুলাই-আগস্টে গণহত্যাকারী ও ইন্ধনদাতাদের বিচার বিশেষ আদালতে করার আহ্বান জানানো হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ। তিনি বলেন, সেটি না করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করা হচ্ছে। আবার চিফ প্রসিকিউটর যাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তিনি একই আদালতের বিচার সম্পন্ন হওয়া যুদ্ধাপরাধীদের আইনজীবী ছিলেন। এসব নিয়ে এখন জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, গণহত্যার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার পেছনে বিশেষ কোনো উদ্দেশ্য আছে কিনা।
শুক্রবার বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে বাসদের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বাসদের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও রুশ বিপ্লবের ১০৭তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। সমাবেশ শুরুর আগে নেতাকর্মীর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
বজলুর রশীদ আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের প্রথম ১০০ দিনে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। দ্রব্যমূল্য সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেনি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। বাসদ প্রত্যাশা করে, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত সময়ে নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ডা. মনীষা চক্রবর্তী বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অসংখ্য শ্রমজীবী মানুষ শহীদ হয়েছেন। এখন শ্রমিকদের পেটে লাথি দেওয়া হচ্ছে। এটা বন্ধ না করলে বৈষম্যবিরোধী সমাজ গঠনের স্বপ্ন পূরণ হবে না।