ইংরেজি দৈনিক নিউজ এজের সম্পাদক নূরুল কবির ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হয়েছেন। শনিবার (২৩ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ অভিযোগ করেন। নূরুল কবির ফেসবুকে লিখেছেন, চলতি সপ্তাহে একটি সম্মেলনে যোগ দিতে বিদেশে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাঁকে হয়রানি করে। ফেরার পথেও একই ধরনের পরিস্থিতির শিকার হন তিনি।
নূরুল কবির লিখেছেন, ‘দুই দশকের বেশি সময় ধরে যতবার বিদেশে গিয়েছি, প্রতিবারই ঢাকার বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আমাকে হয়রানি করেছে। নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে। কখনো গোয়েন্দা কর্মকর্তারা পাসপোর্ট নিয়ে গেছেন, নথিপত্রে সব তথ্য থাকার পরও কেন বিদেশে যাচ্ছি, তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে। প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষায় রাখা হয়েছে, আমার পাসপোর্টের পৃষ্ঠার ছবি তোলা হয়েছে, যা আমার ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন। অনেক সময় নথিপত্র নিয়ে ফ্লাইট ছাড়ার কয়েক মিনিট আগে তা ফেরত দেওয়া হয়েছে। তবে কখনোই দেশে ফেরার সময়ে এসব ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়নি।’
সাম্প্রতিক হয়রানির শিকারের বিষয়টি উল্লেখ করে নিউ এজ সম্পাদক লিখেছেন, ‘একটি মিডিয়া কনফারেন্সে যোগ দিতে ১৮ নভেম্বর বিদেশে যাচ্ছিলাম। আশ করেছিলাম, বিমানবন্দরে আমাকে হয়রানির দিন শেষ হয়ে গেছে অন্তত কিছু সময়ের জন্য। কিন্তু আমি ভুল ভেবেছিলাম। বরং এবার আমাকে দ্বিগুণ হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। যাওয়ার দিন এক ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে রাখা হয়। ২২ নভেম্বর ফেরার সময় আবারও এক ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে রাখা হয়। দেশপ্রেমিক হওয়াটা দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সন্দেহে থাকার বিষয়। সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থা ও সরকারে যাঁরা তাদের তত্ত্বাবধান করেন, তাঁদের দেশপ্রেম নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলতে বাধ্য হচ্ছি।’
বিমানবন্দরে বিশিষ্ট সাংবাদিক নূরুল কবিরকে হয়রানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে দেওয়া এক বার্তায় জানানো হয়েছে, এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। অন্তর্বর্তী সরকার দেশে কোনো সাংবাদিক হয়রানির ঘটনা বরদাশত করবে না।
প্রসঙ্গত, সাংবাদিক নূরুল কবির কলম্বোতে অনুষ্ঠিত এশিয়া মিডিয়া ফোরাম অংশ নিতে ১৮ নভেম্বর শ্রীলঙ্কা গিয়েছিলেন। ২২ নভেম্বর দেশে ফেরেন তিনি।