ঢাকা মহানগর এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধে গত ১৯ নভেম্বর দেয়া হাইকোর্টের আদেশের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এতে আগামী ১ মাস রাজধানীতে অটোরিকশা চলাচলে কোনো বাধা নেই।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের আদালত এ আদেশ দেন।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধে বা বিধি-নিষেধ আরোপে ব্যবস্থা নিতে গত ১৯ নভেম্বর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি), ঢাকার জেলা প্রশাসক, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, ট্রাফিক বিভাগের দুই যুগ্ম কমিশনারকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। এরপরই রাস্তায় নামে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা।
গত কয়েক দিনের আন্দোলনের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, তারা হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করবে। সেই ধারাবাহিকতায় আজ সোমবার সকালে আবেদন করা হয়।
গত ১৯ নভেম্বর ঢাকা মহানগর এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচল বন্ধের নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করেন বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ।
২০১৪ সালের ৩ জুলাই হাইকোর্টের রায় এবং আদেশের পরও ঢাকা মহানগর এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচল সীমিত বা বন্ধে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত এবং বেআইনি ঘোষণা করা হবে না জানতে চাওয়া হয় রুলে।
সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার গ্যারেজ বা চার্জ দেওয়া হয় এমন জায়গার অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা-ও জানতে চাওয়া হয়। স্থানীয় সরকার সচিব, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি), ঢাকার জেলা প্রশাসক, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, ট্রাফিক বিভাগের দুই যুগ্ম কমিশনারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
প্যাডেল চালিত রিকশা চালকদের গড়া ‘বৃহত্তর ঢাকা সিটি করপোরেশন রিক্সা মালিক ঐক্যজোট’র পক্ষ থেকে করা এক রিটের শুনানি শেষে গত মঙ্গলবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ঢাকা মহানগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে রুলসহ নির্দেশ দেন।