চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় মুখোশধারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত যুবলীগকর্মী মো. দেলোয়ার হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। সোমবার (নভেম্বর) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এলাকাবাসী জানায়, ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় চরতি ইউনিয়নের কাটাখালী ব্রিজ এলাকা থেকে তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে আমিলাইষ এলাকায় ফেলে যায় মুখোশধারীরা। দেলোয়ার দক্ষিণ চরতির আলীচাঁন পাড়ার মৃত আহমদ মিয়ার ছেলে। দেলোয়ার স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামের সহযোগী ছিলেন।
দেলোয়ারের স্ত্রী ইয়াছমিন আকতার জানান, দেলোয়ার ঘটনার দিন সন্ধ্যায় কাটাখালী ব্রিজ এলাকায় ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলামের অফিসের সামনে বসে গল্প করছিলেন। এ সময় ৫-৬ জন মুখোশধারী ব্যক্তি এসে জোরপূর্বক তাকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তুলে আমিলাইষের দিকে নিয়ে যায়।
দেলোয়ারকে তুলে নিয়ে যাওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় তাকে মাথা, ঘাড়, হাত, পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় আমিলাইষের মাঝের মসজিদ এলাকায় আলম মেম্বারের বাড়ির পাশে ফেলে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তফা কামাল খান জানান, মুখোশধারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত দেলোয়ার হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় চমেক হাসপাতালে মারা গেছেন। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তিনি আরো জানান, নিহত দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে সাতকানিয়া থানায় কয়েকটি মামলা রয়েছে।