মোস্তাফা আমীনসহ অহিংস গণ-অভ্যুত্থান নেতৃবৃন্দের মুক্তি দাবি জানিয়ে বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ বিৃবতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে জানানো হয়- আ ব ম মোস্তফা আমিন দীর্ঘদিন যাবত দুর্নীতির মাধ্যমে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার জন্য গণসংযোগ ও স্বাক্ষর সংগ্রহ করছেন। পাচার রোধ ও উদ্ধারকৃত অর্থ জনগণের কাছে সুদমুক্ত ঋণ প্রদানের লক্ষ্যে একটি জাতীয় বিনিয়োগ সংস্থা গঠনের আইনের খসড়া তৈরি করেছেন, যা গত ১৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রদান করেছেন এবং দাবি বাস্তবায়নের জন্য ২৫ নভেম্বর ২ মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছিলেন। কিছু পদ্ধতিগত দুর্বলতা সত্ত্বেও তাদের এই উদ্যোগ জনগণের কল্যাণের উদ্দেশ্যে বলে আমরা মনে করি। দুর্নীতির মাধ্যমে পাচারকৃত টাকা ফেরত এনে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে ঋণ হিসেবে বিতরণ করা হলে তা দেশ ও জনগণের জন্য মঙ্গলজনক হবে বলে আমরা মনে করি। ফলে এই আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে ষড়যন্ত্র বা প্রতারণাকারী হিসেবে চিহ্নিত না করে বরং তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে আহ্বান জানাই।
বিবৃতিদাতা বিশিষ্ট নাগরিকরা হলেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বাংলা একাডেমির সভাপতি আবুল কাশেম ফজলুল হক, গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ , বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাবেক সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বিশিষ্ট আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি, সুব্রত চৌধুরী, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক রেহনুমা আহমেদ,
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি)পলিটব্যুরো সদস্য আবুদল্লাহ আল কাফি রতন, দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার ওয়াদুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ সংযুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মোসাদেক হোসেন স্বপন, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদন এ এম ফয়েজ হোসেন, দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় কমিটির সদস্য কাইয়ুম রেজা চৌধুরী, দেওয়ান সুলতান আহমদ, পারভীন নাসের খান ভাসানী, প্রকাশক ও রাজনৈতিক কর্মী দীপক রায়, লেখক ও রাজনৈতিক কর্মী বাকী বিল্লাহ, দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের সভাপতি হারুন অর রশিদ খান, বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সেখ নাছির উদ্দীন, নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন, বিপ্লবী ছাত্র-জনতার সভাপতি আবু তৈয়ব হাবিলদার, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান প্রমুখ।