২০১৯ সালে শিল্পাঙ্গনে একটি কলা নিয়ে এসে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন প্রখ্যাত ইতালীয় শিল্পী মরিজিও ক্যাটেলান। নিলামে সেই ‘কলা শিল্প’ বিক্রি হয়, ৬.২ মিলিয়ন ডলারে, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭৫ কোটি টাকা। আলোচনা এখানেই থেমে থাকেনি, ৭৫ কোটি টাকায় কেনা সেই শিল্পকর্মের কলাটি খেয়ে ফেলেছেন ক্রেতা জাস্টিন সান। খবর বিবিসির।
বুধবার (২০ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের সদেবিজে নিলাম শুরু হওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে ছয় প্রতিদ্বন্দ্বীকে পেছনে ফেলে সেটি কিনে নেন চীনা বংশোদ্ভূত ক্রিপ্টো উদ্যোক্তা জাস্টিন সান। এদিন ৮ লাখ ডলার থেকে নিলাম শুরু হয়। এক মিনিটের মধ্যেই তা ২ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়, এরপর ৩, তারপর ৪ মিলিয়ন।
নিলাম সঞ্চালক অলিভার বার্কার এ সময় মজা করে বলেন, ‘কোনোভাবেই যেন ছুটে না যায়! এই সুযোগ হাতছাড়া করবেন না।
তবে শেষমেষ ৫.২ মিলিয়ন ডলারে কলাটি কিনে নেন জাস্টিন সান। আর নিলামঘরের ১ মিলিয়ন ফিসহ তাকে পরিশোধ করতে হয়েছে মোট ৬.২ মিলিয়ন ডলার।
নিজের অনভূতি জানাতে গিয়ে সান বলেন, এটি আসলে এমন একটি সাংস্কৃতিক ঘটনাকে উপস্থাপন করে যা শিল্প, মিম ও ক্রিপ্টোকারেন্সি জগতের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে।
কলাটি যে বেশিদিন টিকবে না, সে কথাও স্বীকার করে হাসিমুখে তিনি বলেন, অনন্য এক শৈল্পিক অভিজ্ঞতার অংশ হিসেবে কলাটি আমি খেয়ে ফেলব। এর মাধ্যমে শিল্পের ইতিহাস ও জনপ্রিয় সংস্কৃতি উভয় ক্ষেত্রেই আমি এটিকে সম্মানের আসনে বসাব।
সেই প্রতিজ্ঞা রক্ষা করে হংকংয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সামনেই কলাটি খেয়ে ফেলেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, অন্যসব কলা থেকে এটি বেশি সুস্বাদু। সংবাদ সম্মেলনে কলাটি খাওয়াও শিল্পকর্মটির ইতিহাসের একটি অংশ হয়ে উঠতে পারে।
শিল্পকর্ম ও ক্রিপ্টোকারেন্সিতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে থাকেন জাস্টিন সান। আলবার্তো জিয়াকমেত্তির ১৯৪৭ সালের একটি ভাস্কর্য তার সংগ্রহে রয়েছে। ২০২১ সালে ৭৮.৪ মিলিয়ন ডলারে তিনি ভাস্কর্যটি কেনেন।