সুনামগঞ্জে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হিন্দু বাড়িতে হামলা, আকাশ দাস নামে এক যুবক আটক

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ৩ সপ্তাহ আগে

ফেইসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার একটি গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মংলারগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে দোয়ারাবাজার থানার ওসি জাহিদুল হক জানান।

এ ঘটনায় পুলিশ মংলারগাও গ্রামের প্রফুল্ল দাসের ছেলে আকাশ দাসকে (২০) আটক করেছে; যার বিরুদ্ধে আরেকজনের ফেইসবুক পোস্টে গিয়ে ধর্মকে অবমাননা করে কমেন্ট করার অভিযোগ তুলেছে এলাকার কিছু লোকজন।

গতকাল রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মংলারগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে দোয়ারাবাজার থানার ওসি জাহিদুল হক জানিয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ মংলারগাও গ্রামের প্রফুল্ল দাসের ছেলে আকাশ দাসকে (২০) আটক করেছে; যার বিরুদ্ধে আরেকজনের ফেসবুক পোস্টে গিয়ে ধর্মকে অবমাননা করে কমেন্ট করার অভিযোগ তুলেছে ঐ এলাকার স্থানীয় লোকজন।

দোয়ারাবাজারের কেন্দ্রীয় লোকনাথ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক খোকন রায় বলেন, আমাদের লোকনাথ মন্দিরে ভাঙচুর করা হয়েছে। মন্দিরের মালামাল লুট করা হয়েছে। মন্দিরের অন্তত ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বাজারে থাকা হিন্দু সম্প্রদায়ের শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও হামলা, ভাঙচুর করা হয়েছে।

তিনি বলেন, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গুরু দে’র বাড়ি, পরিবারিক মন্দিরসহ আশপাশের আরও ১০টি বাড়িঘরে লুটপাট করা হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলার মংলাগাঁও এবং মনিগাঁও পূর্ব হাঁটিতেও লুটপাট হওয়ার খবর পেয়েছি।

সিলেটে অবস্থানরত মংলারগাঁও গ্রামের এক যুবক বলেন, আমার বাড়িঘরে ভাঙচুর করা হয়েছে। বাড়িতে থাকা পরিবারের সদস্যদের সিলেটে চলে আসতে বলেছি। আমাদের গ্রামের ১৩০ ঘর রয়েছে; এর মধ্যে বেশিরভাগ ঘরবাড়িতেই হামলা-ভাঙচুর করা হয়েছে। রাস্তার পাশে থাকা দোকানপাটও ভাঙচুর করা হয়েছে।

সুনামগঞ্জে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হিন্দু বাড়িতে হামলা

তিনি আরও বলেন, আতঙ্কে গ্রামের বেশিরভাগ মানুষজন বাড়িঘরে নেই। অন্য স্থানে চলে গেছেন। যারা আছেন, তারা ভয়ে কথাও বলতে পারছেন না, এই হচ্ছে আমাদের অবস্থা।

সুনামগঞ্জ জেলার ডিসি মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া ওই গ্রামে পরিস্থিতি শান্ত থাকার কথা তুলে ধরে বলেন, তেমন কিছু হয়নি। প্রশাসনের নজরদারিতে আছে পুরো বিষয়টি। তিনি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়।

রাত দেড়টার পর দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহের নিগার তনু বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্যরা টহলে রয়েছেন। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। উত্তোজিত জনতা ওই যুবকের বাড়িতে গিয়েছিলেন, তখন কিছু ভাঙচুর হয়েছে। তবে কোনো মন্দির ভাঙচুর করা হয়নি। বাড়িঘর ও দোকানপাট কিছু ভাঙচুর হয়েছে। আমি আবার সকালে গিয়ে সবকিছু দেখব।

  • অভিযোগ
  • ধর্ম অবমাননা
  • সুনামগঞ্জ
  • হামলা
  • হিন্দুবাড়ি
  • #