অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযানে গিয়ে বাধার মুখে ফের যেতে হয়েছে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের। তিন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে র্যাব ও পুলিশসহ ৬০ জনের দলটিকে ‘নারায়ে তাকবির’ স্লোগান দিয়ে ঘেরাও করেন ভাটার মালিক ও শ্রমিকরা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয় তাদের। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চরসাদিপুর ইউনিয়নের ভোমরার মোড়ে এ ঘটনা ঘটনা ঘটে। আড়াই ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর ভাটার মালিকদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে চলে যেতে বাধ্য হন কর্মকর্তারা।
প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চরসাদিপুর চরাঞ্চলটি দুর্গম। যে কারণে অতীতে অবৈধ ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো যায়নি। বুধবার কুষ্টিয়া সদর, কুমারখালী, পাবনা সদর ও কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথভাবে অভিযানে যায়। বেলা ১১টার দিকে দলটি ভোমরার মোড়ে পৌঁছলে ‘নারায়ে তাকবির’ স্লোগান দিয়ে ভাটার মালিক ও শ্রমিকদের নেতৃত্বে লোকজন তাদের ঘেরাও করেন।
অবরুদ্ধ কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- কুষ্টিয়া সদরের এসিল্যান্ড রিফাতুল ইসলাম, কুমারখালীর এসিল্যান্ড মো. আমিরুল আরাফাত, পাবনা সদরের এসিল্যান্ড মুরাদ হোসেন ও কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) হাবিবুল বাসার।
এবিসি নামে ইটভাটার মালিক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ব্যাংক ঋণ ও ধারদেনা করে ভাটা চালাচ্ছি। আশপাশের এলাকায় এমন অন্তত ৪০টি অবৈধ ভাটা রয়েছে। যার অন্তত ১৯টিতে ড্রাম চিমনি। কয়েক হাজার শ্রমিক ভাটাগুলোতে কাজ করেন। তাদের জীবিকার কথা চিন্তা করে সম্মিলিতভাবেই অভিযানে বাধা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কুমারখালীর এসিল্যান্ড আমিরুল আরাফাত বলেন, ভাটার মালিক ও শ্রমিকরা পথেই অভিযান আটকে দিয়েছেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়েও ভাটায় পৌঁছানো যায়নি। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে আইন প্রয়োগ করা সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত, আইন অমান্য করে চরসাদিপুর ইউনিয়নের ফসলি জমিতে গড়ে উঠেছে ৩৩টি অবৈধ ইটভাটা। এসব ভাটায় পোড়ানো হচ্ছে নদী ও ফসলি জমির মাটি; আশপাশের গাছের কাঠ। ইট বহনে ব্যবহৃত ট্রাকের কারণে ভেঙে পড়ছে গ্রামীণ সড়ক। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।