ফ্রান্সে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হলেন প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ার। ৬০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে এমনটিই প্রথম ঘটল। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে পদত্যাগপত্র জমা দেন প্রধানমন্ত্রী। সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁর।
অনাস্থা ভোটের আগে শেষ ভাষণে বার্নিয়ার বলেন, আমি আপনাদের বলতে পারি, সম্মানের সঙ্গে ফ্রান্সের জনগণের সেবা করতে পারাটা আমার জন্য সম্মানের বিষয় হয়ে থাকবে।
তবে তিনি বলেন, এই অনাস্থা সবকিছু আরও গুরুতর এবং আরও কঠিন করে তুলবে। এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।
সম্প্রতি আকস্মিক সংসদীয় নির্বাচনের পরে কোনো দলের সামগ্রিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় একটি ঝুলন্ত সংসদ গঠিত হয়। সেখানে সরকারের বেঁচে থাকার একমাত্র চাবিকাঠি থাকে অতি ডানপন্থিদের হাতে।
এখন ম্যাক্রোঁর সামনে একজন কার্যকর উত্তরসূরি বাছাই করার কাজ রয়েছে। তার রাষ্ট্রপতি মেয়াদের দুই বছরেরও বেশি সময় বাকি রয়েছে।
এদিকে, বিভক্ত পার্লামেন্ট আপাতত অপরিবর্তিতই থাকবে। কারণ আইন অনুযায়ী কমপক্ষে আগামী জুলাই পর্যন্ত কোনো নতুন আইনসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারবে না।
ভোট ছাড়াই সামাজিক সুরক্ষা অর্থায়ন বিল পাস নিয়ে অচলাবস্থার মধ্যে সম্প্রতি সংসদে কট্টর বামপন্থীরা অনাস্থা প্রস্তাবটি তোলে।