রাজধানীর খিলগাঁওয়ের বনশ্রী এলাকার একটি ফাঁকা প্লট থেকে আল-আমিন শিকদার (৩২) নামে এক যুবকের অগ্নিদগ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি পাশের একটি ভবনের চিলেকোঠায় থাকতেন। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয় সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
খিলগাঁও থানার ওসি দাউদ হোসেন বলেন, বনশ্রী-মেরাদিয়া সড়কের ‘এফ’ ব্লকের গ্লোরিয়াস টাওয়ারের ম্যানেজার ছিলেন আল-আমিন। আবাসিক ভবনটির নির্মাণকাজ এখনও শেষ হয়নি। তবে কয়েকটি তলায় লোকজন থাকেন। একটি তলায় মৃতের ভগ্নিপতিও থাকেন। আর আল-আমিন থাকতেন ১০ তলা ভবনের ছাদ বা চিলেকোঠার ঘরে। মঙ্গলবার সকালে লোকজন ভবনটির পেছনের বন্ধন হাউজিংয়ের খালি প্লটে আল-আমিনের লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাঁর শরীরের ৮০ ভাগের বেশি পুড়ে গেছে। তাঁর বাড়ি বরিশালের গৌরনদীর দিয়াসুর গ্রামে। বাবা মৃত সিরাজ শিকদার।
ওসি জানান, চিলেকোঠার ঘরে অগ্নিকাণ্ডের আলামত পাওয়া গেছে। মৃতের বিছানাসহ অন্যান্য জিনিসপত্র আগুনে পুড়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সোমবার রাতে মশার কয়েল থেকে ঘরে আগুনের সূত্রপাত হয়। তখন ঘুমিয়ে থাকা আল-আমিন দগ্ধ হন। পরে প্রাণ বাঁচাতে তিনি ঘর থেকে বের হয়ে আসেন এবং ছাদ থেকে লাফ দেন বা পড়ে যান। আনুমানিক রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। কোনো প্রত্যক্ষদর্শী না থাকলেও ভবনের নিরাপত্তাকর্মী বলেছেন, ওই সময়ে তিনি ভারী কিছু পতনের শব্দ পেয়েছেন। তবে কী ঘটেছে, তিনি বুঝতে পারেননি।
পুলিশ বলছে, এটি নিছক দুর্ঘটনা, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।